ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জুড়ল দেবের! প্রকাশ্যে এল এক বিস্ফারিত অডিও রেকর্ড। ইতিমধ্যেই রাজ্যে শেষ হয়েছে চার দফা ভোট। পঞ্চম দফা ভোটের জন্য রীতিমত নাওয়া খাওয়া ছেড়ে প্রচারে বেরিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা। শেষ মুহূর্তে ভোটের রাজনৈতিক ময়দানে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ সকলে। তবে এর মাঝেই শাসক দলের বিরুদ্ধে উঠে এল এক ভয়ংকর অভিযোগ।
কেন্দ্রবিন্দু এবার ঘাটাল। সেখানে ভোটের প্রচারের মাঝেই একেবারে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে দুই বিপরীত পক্ষের তারকা প্রার্থীর। একদিকে লড়ছে তৃণমূল প্রার্থী দীপঙ্কর অধিকারী ওরফে দেব। এবং অপরদিকে লড়ছে বিজেপি প্রার্থী হিরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এই লড়াইয়ের দ্বন্দ্বের আগুন ভোটের আগে আরও একবার জ্বালিয়ে তুললেন হিরণ। প্রকাশ্যে আনলেন দেবের এক কল রেকর্ডিং। বেশ কয়েকদিন ধরে দেব ঘনিষ্ঠের বিরুদ্ধে চাকরির নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে জোর চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে।
ঘাটলে উঠে এল নিয়োগ দুর্নীতির ভয়ংকর তথ্য
আজ অর্থাৎ শুক্রবার সকালে এক্স হ্যান্ডেলে একটি অডিও ক্লিপ পোস্ট করেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। এবং সেই অডিওর প্রকাশের সঙ্গেই তিনি লিখেছেন, “গত দু বছর ধরে যা বলে আসছিলাম, এই অডিও ভাইরাল টি কী সেটি? তাহলে উনি তো সব কিছুই জানতেন ??? না জানার অভিনয়টাই কি সৌজন্যতা??? মানুষ বিচার করুক। (as received from the sources, I have not verified it)”
গত দু বছর ধরে যা বলে আসছিলাম, এই অডিও ভাইরাল টি কী সেটি ? তাহলে উনি তো সব কিছুই জানতেন ??? না জানার মেকি অভিনয়টাই কি সৌজন্যতা ??? মানুষ বিচার করুক॥ (as received from the sources, I have not verified it) https://t.co/gX5vhnz7Ww
— Hiraan (@hiran_chatterji) May 17, 2024
অডিওর কথপোকথন
মহিলা: দেব দা কেমন আছেন?
দেব: ভালো আছি, তুমি কেমন আছো?
মহিলা: একদম ভালো আছি দাদা। দেবদা একটা ছোট্ট ইস্যু ছিল। সেটা সলভ হচ্ছে না বলেই তোমাকে ফোন করতে বাধ্য হলাম। রাম আমার কাছ থেকে ৯ লক্ষ টাকা নিয়েছিল। সায়ন্তনকে বলেছিলাম, ৯ লক্ষ টাকা নিয়েছে চাকরি দেওয়ার জন্য। এখন না চাকরি দিচ্ছে, না টাকাটা ফেরত দিচ্ছে। আমার কোনও পলিটিক্যাল যোগ নেই।
আরও পড়ুনঃ কিছুক্ষণেই তিন জেলায় বৃষ্টি, দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহ নিয়েও আবহাওয়ার বড় আপডেট
দেব: আমি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। আমি আমার মতন করে জিজ্ঞাসা করব।
এই অডিও প্রসঙ্গে দেবের সঙ্গে সাংবাদিকদের কথোপকথন হলে তিনি জানান, ‘মহিলার কণ্ঠস্বর এডিট করা হতে পারে। ভোটের মুখে বিজেপি একের পর এক অডিয়ো প্রকাশ্যে আনছেন। যেগুলো ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’