CAA-তে বাংলায় নাগরিকত্ব দেওয়া শুরু, আটকাতে পারবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার? তোলপাড় রাজ্য

Published on:

CAA

ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: হাতে মাত্র আর দুই দিন। এরপরেই রাজ্য জুড়ে সপ্তম দফার লোকসভা নির্বাচন হতে চলেছে। তাই শেষ মুহূর্তে দফায় দফায় বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা ভোটপ্রচার এবং জনসভা করে চলেছে। এমনকি সময় করে বাংলার প্রতিটি জায়গায় নির্বাচনী প্রচার করে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী। আর এই ভোটযুদ্ধের পরিস্থিতির মধ্যে আরও একবার খবরের শিরোনামে উঠে এল CAA বা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন।

লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন অর্থাৎ CAA লাগু করার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। এই নিয়ে রাজনৈতিক অন্দরে নানা মতবিরোধ উঠে এসেছিল। নারাজ ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কিন্তু এবার সমস্ত বাঁধা বিপত্তি দূর করে CAA-তে বাংলার আবেদনকারীদের নাগরিকত্ব দিতে শুরু করল কেন্দ্র। গতকাল অর্থাৎ বুধবার এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

WhatsApp Community Join Now

রাজ্যে চালু CAA!

সূত্রের খবর, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে CAA পাস হয়েছিল। যেখানে আইন অনুযায়ী, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর বা তার আগে ভারতে পালিয়ে আসা অমুসলিম উদ্বাস্তুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। আগে যেখানে আশ্রয়কারীদের এগারো বছর ভারতে থাকতে হত। সেখানে নয়া আইনে এই সময়কাল কমিয়ে পাঁচ বছর করা হয়েছে। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ তা অনুমোদন করেন। কিন্তু গোটা দেশ জুড়ে এই আইন তখনও কার্যকর হয়নি। কিন্তু গত ১১ মার্চ লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্র। সেখানে CAA লাগু করার কথা বলা হয়েছিল।

কী বলছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক?

ইতিমধ্যে ১৫ মে প্রথম দফায় নয়া দিল্লিতে কয়েকজন আবেদনকারীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল শংসাপত্র। তাঁদের মেল মারফত ডিজিটাল শংসাপত্রও দেওয়া হয়েছিল। এবার টার্গেট পশ্চিমবঙ্গে। গতকাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের আওতায় বাংলা, উত্তরাখণ্ড এবং হরিয়ানার আবেদনকারীদের নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে। এবং রাজ্যের কমিটিগুলির মাধ্যমেই এই কাজ সম্পন্ন করা হবে।

আরও পড়ুনঃ অন্ধকারে পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ! মাধ্যমিকের রেজাল্ট বেরোনোর পরই যা করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, তুঙ্গে বিতর্ক

কিন্তু প্রথম থেকেই রাজ্যে CAA এর দাবি মানতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি একের পর এক নির্বাচনী জনসভায় এখনও বলে যাচ্ছেন, তিনি তাঁর জীবন দিয়ে দেবেন, কিন্তু CAA, NRC এবং অভিন্ন দেওয়ানি বিধির মতো বিজেপি সরকারের বিভেদকামী নীতিগুলি, বাংলায় বাস্তবায়িত হতে দেবেন না।অন্যদিকে, বাংলায় এসে বিভিন্ন জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, তৃণমূলের CAA-র বিরোধিতা করা নিয়ে আক্রমণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁর অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে, বাংলায় অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা বাড়ছে। আর সেই দুর্নীতি নাশ বিজেপি সরকার করবেই।

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন