ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডকে ঘিরে রাজ্যের প্রায় সব শহর এলাকাতেই সাধারণ জনজীবনে এক ভয়ংকর অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন আন্দোলনকারীরা নানা রকমের কর্মসূচী পালন করে চলেছে। মিটিং, মিচ্ছিল থেকে শুরু করে শ্লোগান দেওয়া এবং রাত দখলের লড়াই ক্রমেই চলছে রাজ্য জুড়ে। আর এই আবহে আন্দোলনকারীদের গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সোমবার নবান্নে বসেছিল প্রশাসনিক বৈঠক সেখান থেকেই মুখ্যমন্ত্রী আন্দোলনকারীদের পুজোর উৎসবের মধ্যে ফিরে আসার ডাক দেন। আর তাতেই আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন আন্দোলনকারীরা।
স্বাস্থ্যসচিবের পাঠানো ই-মেল বার্তা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনরত চিকিৎসরা!
গত সোমবার সুপ্রিম কোর্ট আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার বিকেল ৫ টার মধ্যে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সোমবার বিকেলে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারেরা তাঁদের নতুন কর্মসূচি অর্থাৎ করুণাময়ী থেকে স্বাস্থ্য ভবন পর্যন্ত অভিযানের ডাক ঘোষণা করেছিলেন। তাঁদের দাবি ছিল যদি প্রশাসন তাঁদের পাঁচ দফা দাবি এবং অন্যান্য দাবি মেনে নেয় তাহলে তাঁরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করবে। তা না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। এদিকে গতকাল সন্ধেয় স্বাস্থ্যসচিবের পাঠানো ই-মেল বার্তা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনরত চিকিৎসরা জানিয়ে দিয়েছেন, যতক্ষণ না প্রপার ই-মেল আসছে ততক্ষণ পর্যন্ত স্বাস্থ্যভবনের সামনে ধর্না অবস্থান জারি থাকবে।
সিনিয়র চিকিৎসকদের পদত্যাগের হুঁশিয়ারি!
আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি ক্রমাগত আন্দোলনের ফলে রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলে মিথ্যে প্রচার করছে শাসকদলের একাংশ। কিন্তু আসল কথা হল জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতির ঘাটতি মিটিয়ে দিতে সিনিয়র চিকিৎসকদের অনেকে দিন-রাত এক করে এক নাগাড়ে ডিউটি চালিয়ে যাচ্ছে। এরপরই আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারি, “সব শিক্ষক কিন্তু সন্দীপ ঘোষ নন, যদি সিনিয়র চিকিৎসকরা এই মিথ্যা প্রচারের প্রতিবাদে মাস রেজিগনেশন দিতে শুরু করে তাহলে সরকার কী করবে?”
এদিকে আন্দোলনকারীদের প্রতি সরকারের মুখে অন্য সুর ভেসে আসছে। গতকাল এক সা্ংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘আন্দোলনের মূল কারণকে সমর্থন করেছে রাজ্য সরকার। আলোচনার মাধ্যমেই সরকার সমস্যার সমাধান করতে চায়। তাই সরকারের তরফে ই-মেল করা হয়েছিল। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী সাড়ে সাতটা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছেন। ক্ষেত্রটা সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার। তাই চিকিৎসকরা কাজে ফিরুন, এটা আরও একবার অনুরোধ করলাম।’