ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: অবশেষে বঙ্গে আগমন বর্ষার। আর বর্ষা মানেই ‘রুপোলি শস্য’ পাতে পড়ার অপেক্ষায় থাকেন ভোজনরসিক আমবাঙালির একাংশ। ইলিশের ঝাল, ভাপা ইলিশ, ইলিশের পাতুরি, সর্ষে ইলিশ, ইলিশের ডিম তরকারি একেবারে জিভে জল আসার মতো খাবার। তাই রীতিমত বৃষ্টির ফোঁটা পড়তে না পড়তেই বাজারের ব্যাগ হাতে নিয়ে সোজা মাছের বাজারে ঢুঁ মারছেন অনেকে।
পর পর টানা দু’মাস সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ থাকার দরুণ গত ১৫ জুন গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যান মৎস্যজীবীরা। ট্রলার, মাছের জাল নিয়ে রীতিমত মা গঙ্গার নাম করে পাড়ি দিয়েছেন তাঁরা। বাদ যায়নি ডায়মন্ড হারবার এর মৎস্যজীবীরা। আর এবার তাঁদের জালেই ধরা পড়ল কারি কারি ইলিশ। আনন্দ আহ্লাদে আটখানা বাঙালি
ধরা পড়ল কত টন ইলিশ?
সূত্রের খবর, মরসুমের শুরুতেই ডায়মন্ডহারবার নগেন্দ্র বাজারে ঢুকল ৩ টন ইলিশ। সামান্য বর্ষার মুখ দেখতেই দক্ষিণবঙ্গে ডায়মন্ড হারবারের নগেন্দ্রবাজারে ঢুকেছে তিন হাজার কেজি ইলিশ। যা বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ টাকা প্রতি কেজিতে। যা অবাক করে দিয়েছে সকলকে। যা দেখে বোঝা যাচ্ছে এবার এই মরসুমের প্রথম ইলিশ ভালভাবে রাঙাতে চলেছে বাঙালির মনকে। তার উপর আজ ও কাল উইকেন্ড। সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে, তাই দেদার বিকোচ্ছে ইলিশ।
আরও পড়ুনঃ বাচ্চাদের স্কুলে পাঠিয়ে চিন্তার দিন শেষ! গরমের ছুটির শেষে যা করল রাজ্য সরকার, ধন্য ধন্য করছে সবাই
জালে এত মাছ ওঠার প্রসঙ্গে আড়তদার সমিতির সম্পাদক জগন্নাথ সরকার জানান, ‘মরসুমের শুরুতেই জালে ভাল পরিমাণে ইলিশ দেখা দিয়েছে। ভবিষ্যতে এর পরিমাণ আরও বাড়বে বলে আমরা আশাবাদী। আর ইলিশগুলি সাইজে বেশ বড়। গত দু’মাস মাছ ধরা বন্ধ ছিল। তবে এইমুহুর্তে মৎস্যজীবীরা আবার সমুদ্রে যেতে পেরেছেন এবং ভাল সাইজের ইলিশ ধরা হয়েছে জালে। তবে অন্যান্য বছরের থেকে এই বছর জালে ইলিশ বেশি পড়বে বলে আশাবাদী আমরা সকলেই।’