ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: বৈশাখের শুরুতেই দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা ছাড়িয়েছিল ৪০ এর ঘর। যত দিন এগোচ্ছে ততই তাপমাত্রা যেন আরও ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। পশ্চিমের জেলাগুলোর চিত্র আরও ভয়ংকর। এই পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের শরীর স্বাস্থ্যের কথা ভেবে রাজ্য সরকার নির্ধারিত সময়ের আগে সমস্ত সরকারি স্কুলগুলিতে গত ২২ এপ্রিল থেকে আগামী ২ জুন অবধি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি বেসরকারি স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি দেওয়ার অনুরোধ করেছিল রাজ্য সরকার।
আবহাওয়া প্রসঙ্গে বড় আপডেট
গত মাসে অর্থাৎ এপ্রিল মাসে তীব্র তাপপ্রবাহের পরিস্থিতিতে নাজেহাল হয়ে পড়েছিল রাজ্যবাসী এমনকি চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহেও বজায় ছিল একই পরিস্থিতি। তবে সম্প্রতি আবহাওয়া প্রসঙ্গে এবার আশার আলো দেখিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। জানা গিয়েছে রাজ্যে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকে যাওয়ার দরুন এক ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এবং আগামী বুধবার পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এবং তাপমাত্রাও ২-৩ ডিগ্রী হ্রাস পেতে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে তাই অনেকেরই প্রশ্ন, এবার কি তবে গরমের ছুটি কমে যাবে?
এদিকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত সমস্ত কলেজগুলোকে গরমের ছুটি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, ২ মে থেকে ১১ মে অবধি সাময়িকভাবে ক্লাস বন্ধ থাকবে। এছাড়াও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ বিদ্যালয়গুলিকে জানানো হয়েছে, গরমের তীব্রতা যেহেতু এখনও কমেনি, উল্টে আরও বাড়ছে তাই বিদ্যালয়গুলি যদি চায় গরমের দীর্ঘ ছুটির সময়সীমা বহাল রাখতে পারে।
গরমের ছুটি বাতিল?
কিন্তু সম্প্রতি আবহাওয়ার রিপোর্টে বৃষ্টি ও কালবৈশাখীর সম্ভাবনা অভিভাবক ও পড়ুয়াদের মনে স্কুল খোলার তীব্রতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। তবে সেক্ষেত্রে তেমন টা হবে না। কারণ হাওয়া অফিস জানাচ্ছে বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও গরমের হাত থেকে এখনই নিস্তার পাওয়া যাবে না। কয়েকদিন তাপমাত্রা খানিক কমলেও আবারও তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে চলেছে। তাই গরমের ছুটি কমানোর কোনও সম্ভাবনা নেই।