হলফনামায় বিস্তর গরমিল! বাতিল হবে সায়নী ঘোষের প্রার্থীপদ? বড় বয়ান নির্বাচন কমিশনের

Published on:

Saayoni Ghosh

ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: ভয়ংকর বিপদের সম্মুখীন তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ! এতদিনের পরিশ্রম বিফলে যাবে তাঁর! চাঁদিফাটা রোদ হোক কিংবা ঝড় বৃষ্টির দুর্যোগ কোনো কিছুকেই তোয়াক্কা না করে দেদার প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। জনগণের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বিরোধীদের খোঁচা দিয়ে নিজের সাধ্যমত প্রাণপণ খেঁটে চলেছেন তিনি। কিন্তু সেই সব পরিশ্রমই কি এবার ব্যর্থ হতে চলেছে সায়নী ঘোষের?

প্রার্থীপদ বাতিল সায়নীর?

চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনে সায়নী ঘোষের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছেন বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গাঙ্গুলি এবং সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। দ্রুত গতিতে এই তিন দলের চলছে জোর কদমে প্রচারপর্ব। কিন্তু এই প্রচারপর্বের মাঝেই আরও একবার লাইমলাইট কেড়ে নিলেন খোদ সায়নী ঘোষ। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনারকে হলফনামা জমা দিয়েছেন তিনি। আর সেই হলফনামাকে ঘিরেই তৈরি এল ভয়ংকর বিতর্ক। কারণ ২০২১ সালে জমা দেওয়া হলফনামার হিসেবনিকেশ কিছুতেই মিল খাচ্ছে না৷ রয়েছে বিস্তর গরমিল। প্রশ্ন উঠছে তবে কি শেষ মুহূর্তে মনোনয়ন বাতিল হতে পারে সায়নীর?

WhatsApp Community Join Now

ভিন্ন অর্থবর্ষে আয়ের ভিন্ন রূপ

সম্প্রতি প্রকাশিত হলফনামায় সায়নী ঘোষ জানিয়েছেন যে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে তাঁর আয় ছিল ৪ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা ৷ এদিকে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি আসানসোল দক্ষিণ থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন৷ সেইবার হলফনামায় দেওয়া হয়েছিল ২০১৮-১৯ সালে সায়নী ঘোষের বার্ষিক আয় ৫ লক্ষ ৬৮ হাজার ১৩৩ টাকা ৷ এদিকে ২০২৪ সালের হলফনামায় যেখানে ১৯-২০ অর্থবর্ষে যেখানে তাঁর আয় ছিল ৩ লক্ষ ৭৮ হাজার ৩৮০ টাকা ৷ সেখানে ২০২১ সালের হলফনামায় ১৯-২০ র অর্থবর্ষে দেওয়া আছে ৪ লক্ষ ৯২ হাজার ৫৬৮ টাকা ৷ অর্থাৎ হিসেবে মিলেছে বিস্তর গরমিল। প্রশ্ন উঠছে কেন বিধানসভা ভোটের প্রার্থী সায়নী আর লোকসভা ভোটের প্রার্থী সায়নীর আয় ভিন্ন হল?

আরও পড়ুনঃ ভোট প্রচার ছেড়ে হাইকোর্টে ছুটল রেখা পাত্র! কী হল বিজেপি প্রার্থীর? হৈচৈ বাংলায়

তবে এই প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছে, তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষের হলফনামা নিয়ে কোনও অভিযোগ এখনও পর্যন্ত তাদের কাছে জমা পড়েনি ৷ ফলে তাঁর প্রার্থীপদ নিয়েও কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয় ৷ তবে যদি কোথাও এই হলফনামা নিয়ে কোনও অভিযোগ জমা পড়ে, তখন অভিযোগকারীর অভিযোগটি কমিশনের ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়া হয় ৷ এবং সেই অভিযোগকারী যদি আদালতে মামলা করে, তাহলে আদালত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে যে তাঁর পদ থাকবে কিনা।

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন