ইন্ডিয়া হুড ডেস্কঃ দেখতে দেখতে প্রায় দুই বছর পার। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঠিকানা হিসেবে স্থায়ী থেকে গেল প্রেসিডেন্সি জেল। বারবার কোনও না কোনও প্রভাবশালী যুক্তিতে তাঁর জামিনের আর্জি হাইকোর্টে আবেদন করা হচ্ছে। কিন্তু প্রতিবারের মত সঠিক যুক্তির মাধ্যমে খারিজ করেছে আদালত। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে এখনও সঠিক পদ্ধতিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অর্থাৎ CBI এর তদন্ত প্রক্রিয়া শুরুই হয়নি। যা নিয়ে এবার মারাত্মক বিরক্তি প্রকাশ করলেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি। এমনকি প্রশ্ন তুললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর ক্ষমতা নিয়েও।
সূত্রের খবর, গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ছিল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর জামিন মামলার শুনানি। যেই মামলাটি বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন। সেখানে মামলার সওয়াল জবাব চলাকালীন বিচারপতি এই তদন্তে CBI এর প্রসঙ্গ টানতেই CBI এর আইনজীবী জানান পুরো তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হতে এখনও বাঁধা কাটেনি। কারণ মিলছে না মুখ্যসচিবের অনুমোদন। যার দরুন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরুর ক্ষেত্রে দেখা দিচ্ছে নানা জটিলতা।
ক্ষমতা এখনও বজায় আছে পার্থর!
এর আগে মুখ্যসচিবকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য চারবার সময় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু সেই সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করেনি মুখ্যসচিব। এদিকে গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার আরও ৭ সপ্তাহ সময় চাইলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। এই প্রস্তাবে বিরক্ত ও বিস্ময়ের সুর প্রকাশ করে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি বলেন, ’পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখন আর মন্ত্রী নেই। অথচ তাঁর ক্ষমতা আমরা এজলাসে বসে টের পাচ্ছি। এতটাই প্রভাবশালী যে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের অনুমোদন দিতে মুখ্যসচিবের কলম উঠছে না।’ এছাড়াও তিনি আরও জানান, ‘রাজ্য আদালতকে বাধ্য করছে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। যা এক্সট্রিমলি আনফেয়ার। পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে তাঁরা আদালত অবমাননা করছে। ইচ্ছাকৃত ভাবে দেরি করা হয়েছে মুখ্যসচিবের তরফে। মুখ্যসচিব নিজে থেকেই এই কাজের মাধ্যমে আদালতকে আহ্বান করছে আদালত অবমাননার রুল জারি করতে।’
আরও পড়ুনঃ আজ থেকেই দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি, বইবে ৪০ কিমি বেগে ঝড়ও! তিন জেলার জন্য চরম সুখবর
পাশাপাশি অ্যাডভোকেট জেনারেলকে উদ্দ্যেশ্য করে বিচারপতির কড়া প্রশ্ন, “এটা নেহাতই কি আমলাতন্ত্রের আলস্য? নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য অঙ্ক?” যদি রাজ্যের মুখ্যসচিব এমনই ধারা বজায় রাখে তাহলে আদালতের পক্ষে নিরপেক্ষ বিচার সম্ভব নয়। সূত্রের খবর, আজ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।