ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: দেখতে দেখতে ৩২ দিন পার। আরজি কর কাণ্ডের সঠিক বিচারের অপেক্ষায় গোটা দেশ। গতকাল লালবাজারের পর এবার স্বাস্থ্য ভবন অভিযান শুরু করেন জুুনিয়র ডাক্তারেরা। পাশাপাশি পাঁচ দফা দাবির কথা তুলে ধরা হয়েছে এই অভিযানে। সেগুলি হল— প্রথম, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত সমস্ত দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করা, অপরাধের উদ্দেশ্য সামনে আনা এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। দ্বিতীয়, তথ্যপ্রমাণ লোপাটের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচার। তৃতীয়, সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে ‘ব্যর্থ প্রমাণিত’ কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েলের ইস্তফা।
এখনও অবস্থান বিক্ষোভে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা
এছাড়াও চতুর্থ দফায় তাঁরা জানিয়েছে, রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। এবং পঞ্চম দফায় রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভয়মুক্ত পরিবেশ গড়তে হবে এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ সুনিশ্চিত করতে হবে। তবে এই সকল দফা দাবির পাশাপাশি রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা-র ইস্তফাও চেয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। এমনকি সেই অবস্থান বিক্ষোভে গতকাল রাতে সামিল হয়েছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। এছাড়াও স্বাস্থ্য ভবনের সামনে আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভে জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে থাকতে বিক্ষোভস্থলে উপস্থিত হয়েছেন নির্যাতিতার পরিবারে লোকেরা।
প্রশাসনের পদক্ষেপে ক্ষোভ প্রকাশ নির্যাতিতার বাবার!
সেখানেই সাংবাদিকদের সঙ্গে মুখোমুখি হয়েছেন নির্যাতিতার বাবা মা। আন্দোলনরত ডাক্তারদের উদ্দেশে নির্যাতিতার বাবা বলেন, “আশা করছি প্রশাসনে শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। তোমরা একটু ধৈর্য্য রাখো। তোমরা বাধ্য হয়েছ এই আন্দোলন করেছ। আশা করছি আমরা বিচার পাব।” এছাড়াও মমতার উৎসব প্রসঙ্গে তিনি বলেন “যদি উনি মানুষকে বুঝিয়ে উৎসবে নামাতে পারেন, তাহলে নামাবেন। তবে সেটা উনি পারবেন বলে আমার আশা নেই।” এছাড়াও CBI এর তদন্ত প্রসঙ্গে নির্যাতিতার বাবা বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট দেশের সর্বোচ্চ আদালত এবং তাদের উপর আমাদের ১০০ শতাংশ ভরসা আছে। CBI এর উপরেও আমাদের ভরসা আছে এবং আমরা যেটা জানতে পেরেছি CBI তার সঠিক রাস্তায় কাজ করছে।”
অন্যদিকে বিক্ষোভস্থলে নির্যাতিতার মা জানিয়েছেন “আমার ছেলেমেয়েরা আজ রাস্তায়, তাই বাড়িতে থাকতে পারিনি, ছুটে এসেছি এখানে। প্রশাসন তোমাদের কোথায় দাঁড় করিয়েছে? মুখ্যমন্ত্রী উৎসবে যোগ দিতে বলছেন, আমার কাছে এটাই উৎসব।”