ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যের মানুষের সুবিধার্থে একের পর এক প্রকল্প চালু করেই চলেছে। যার মধ্যে অন্যতম হল ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’। রাজ্যের প্রতিটি মহিলারা এই প্রকল্পের মাধ্যমে মাসে ১০০০ টাকা করে পায়, এবং তফসিলি জাতির মহিলারা ১৫০০ টাকা করে পাচ্ছে। বলতে গেলে শাসক দল তৃণমূলের মুখ্য অঙ্গ হল এই ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’। অন্যদিকে এই প্রকল্প নিয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে বেশ হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলে তৃণমূলের।
চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল যখন রাজ্যের মহিলাদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি অর্থ প্রদানের বিষয়টি নিয়ে জোর কদমে প্রচার চালাচ্ছিল। তখন অমিত শাহের মুখে এই লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে নানা প্রতিশ্রুতি শোনা গিয়েছিল। গত মাসে শ্রীরামপুরের এক জনসভায় শোনা গিয়েছিল রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসলে লক্ষ্মীর ভান্ডারের বরাদ্দ বৃদ্ধি হবে। আরও ১০০ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হবে। যা শুনে খানিক বিদ্রুপের হাসি হেসেছিল গোটা তৃণমূল সরকার। তবে এবার ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে আরও একবার খবরের শিরোনামে উঠে এল লক্ষ্মীর ভান্ডার।
ভোট পরবর্তী হিংসা কাঁথিতে!
চলতি লোকসভা নির্বাচনে কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছে তৃণমূল। আর তার পর থেকেই কাঁথি লোকসভার অন্তর্গত বিধানসভা খেজুরিতে তৃণমূলের কর্মীদের উপর ক্রমাগত অত্যাচার চালানোর অভিযোগ উঠে এসেছে বিজেপি সমর্থক এবং কর্মীদের বিরুদ্ধে। আর সেই খবরের ভিত্তিতে গোটা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিলেন খেজুরিতে।
গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার প্রতিনিধি দলের সদস্য হয়ে কুণাল ঘোষ গিয়েছিলেন খেজুরিতে। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের বিধায়ক শিউলি সাহা এবং মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা। এলাকায় আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি তাঁরা এক জনসভায় আয়োজন করে। বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনার পাশাপাশি পুকুরের জলে বিষ মিশিয়ে দেওয়া, চাষাবাদ নষ্ট করার মতো অভিযোগও রয়েছে বিজেপির বিরুদ্ধে। সেই সব অভিযোগে ক্ষুব্ধ হয়ে সেখানকার আয়োজিত জনসভায় অত্যাচারিত লোকেদের বিরুদ্ধে ভয়ংকর মন্তব্য করে বসলেন।
লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধের সুর কুণালের গলায়!
এদিন সেই জনসভায় কুণাল বলেন, ‘যাঁরা তৃণমূলের উপর হামলা করছেন, তাঁরাও তৃণমূল সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পান। তাঁরা জেনে রাখুন আপনাদের টাকা বন্ধের দাবি উঠছে। যাঁরা আপনাদের হামলার শিকার হচ্ছেন, তাঁরাই এই দাবি তুলছেন। এ-ও বলছেন, দরকারে তাঁদের টাকাও বন্ধ করা হোক, কিন্তু হামলাকারীরা যেন সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা না পান।’ এছাড়াও তিনি আরও বলেন, ‘বিজেপির কিছু দুষ্কৃতী যদি ঠিক করে তারা এ ভাবেই অশান্তি চালিয়ে যাবে, আমরা যে উদারতা দেখাচ্ছি তা যদি ওরা না মানে, তা হলে তাদের ভাল এ বার তারাই বুঝবে।’