ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: চলতি বছর লোকসভা ভোটের মুখে জেলায় জেলায় আধার কার্ড বাতিল হওয়াকে ঘিরে বিক্ষোভ তৈরি হয়েছিল রাজ্যে। যা নিয়ে কেন্দ্রকে চিঠিও পাঠানো হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। সেই সময় মতুয়ারা এই ইস্যুতে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি পশ্চিমবঙ্গ সরকার আধার সমস্যা কাটাতে নিজস্ব পোর্টাল শুরু করবে বলেও জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আর এই আবহেই আধার কার্ড বাতিল হওয়া নিয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হল। মূলত আধার কার্ড আইনের যে ধারায় (২৮এ) তা বাতিল করা হয়েছিল, সেই আইনের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিল ‘NRC’ বিরোধী একটি সংগঠন। তাদের দাবি, আধার আইনের সংশ্লিষ্ট ধারাটি বৈধ নয়।
আধার প্রসঙ্গে রাজ্যকে এক হাতে নিল কেন্দ্র!
এদিকে গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে আধার কার্ড বাতিলের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সেই জনস্বার্থ মামলাটি ওঠে। সেখানে রীতিমত রাজ্যের বিরুদ্ধে ক্ষেপে উঠলেন কেন্দ্রের আইনজীবীরা। আদালতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং আধার কর্তৃপক্ষের আইনজীবীদের অভিযোগ জানায় যে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার রীতিমতো বেআইনি অভিবাসীদের মূল আস্তানা হয়ে উঠেছে। শুধু তা-ই নয়, এই মামলার আবেদনকারী সংগঠন ‘জয়েন্ট ফোরাম এগেনস্ট এনআরসি’-কে কার্যত দেশবিরোধী বলতেও ছাড়েননি কেন্দ্রের আইনজীবীরা।
আধার কার্ড বাতিলের কারণ জানাল কেন্দ্র!
কেন্দ্র এবং আধার কর্তৃপক্ষের আধার কার্ড বাতিলের প্রসঙ্গে দাবি করা হয় যে সেই সমস্ত আধার কার্ড বাতিল করা হয়েছে যাঁরা দেশের নাগরিক নন। যদিও সেগুলি প্রাথমিক ভাবে ব্লক করা হলেও ফের খুলে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের দাবি, যে সব বিদেশি নাগরিক অবৈধ ভাবে এ দেশে থাকছেন তাঁদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ এবার হবে সব ফাঁস! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তে টাটা গ্রুপ? CBI-কে চরম নির্দেশ হাইকোর্টের
অন্যদিকে মামলাকারী সংগঠনের তরফে প্রসেনজিৎ বসুর অভিযোগ, ‘যদি কোনো ব্যক্তি বিদেশি নাগরিক হয়ে থাকে তাহলে সেই ব্যক্তির বৈধ আধার কার্ড তৈরি হল কী ভাবে? কিসের ভিত্তিতে এই ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হচ্ছে? পাশাপাশি তিনি এ ব্যাপারে RTI করেছিলেন। কিন্তু কেন্দ্র থেকে জানানো হয় যে এটি অতি গোপনীয় বিষয়। যার ভিত্তিতে আন্দাজ করা হচ্ছে এখানে বেআইনি ভাবে কিছু কাজ করা হচ্ছে।