ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: প্রতি বছর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে রিভিউ ও স্ক্রুটিনিতে নম্বর বদল হওয়ার খবর বারংবার উঠে আসে শিরোনামে। তার জেরে মেধা তালিকাও অনেকটাই পরিবর্তন হয়। চলতি বছরেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মাধ্যমিকে এ বছর রিভিউয়ে সর্বোচ্চ বেড়েছে ২২ নম্বর। যা অনেকটাই। আবার উচ্চ মাধ্যমিকেও নম্বর আপলোড করা নিয়ে হয়েছে নানা ধুন্ধুমার কাণ্ড। এই প্রথম সরাসরি পোর্টালে অনলাইনে ছাত্র ছাত্রীদের নম্বর আপলোড করার ক্ষেত্রে পরীক্ষকদের মধ্যে এক বড় ভুল চোখে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে কোনো কোনো পরীক্ষক ৫২-র জায়গায় ২৫ নম্বর তুলেছেন। যার দরুন নয়া মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে।
নম্বর বিপাকে ছাত্র ছাত্রীরা
নম্বর কম বেশি হওয়ার দরুন বেজায় সমস্যায় পড়েছে পরীক্ষার্থীরা। কারণ মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে নম্বর কারোর প্রথম দিকে কম হওয়ায় অনেকেই তাদের পছন্দের বিষয় একাদশ শ্রেণীতে গ্রহণ করতে পারেনি। আবার অন্যদিকে উচ্চমাধ্যমিক ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটতে দেখা গিয়েছে। অনেক পড়ুয়া কলেজে ভর্তি হওয়ার পর নম্বর বেড়েছে। তার ফলে অনেকের মনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। কারণ আগে যদি নম্বর সঠিক থাকত তাহলে মেধার ভিত্তিতে আরও ভাল কলেজে ভর্তি হওয়া যেত। কিন্তু সেটা আর হল না। ফলত আশঙ্কার চাপ বাড়ছে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকে নিয়োগপ্রাপ্ত যথাক্রমে ৫৫ হাজার ও ৪৬ হাজার শিক্ষকের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়ে।
দপ্তরের আশঙ্কা এর ফলে বহু পরীক্ষকই ভয়েতে আর খাতা দেখতে চাইবেন না। তাই এই ভিত্তিতে দপ্তর সূত্রে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের সঙ্গে একই সময়ে একাদশের বার্ষিক পরীক্ষারও খাতা ওই পরীক্ষকদের দেখতে হয়। তাই সমস্যায় পড়তে হয়। শুধু তা-ই নয়, স্কুলশিক্ষা দপ্তরের বক্তব্য, সংশ্লিষ্ট পরীক্ষকরা কঠোর ভাবে খাতা দেখতে শুরু করলে পরীক্ষার সার্বিক ফল ভালো না-ও পেতে পারে। তবে এবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার খাতা দেখার বিষয়ে নানা ধরনের সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করা হচ্ছে।
নয়া উদ্যোগ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ এর!
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলছেন, ‘মূল্যায়ন প্রক্রিয়া নির্ভুল করতে পর্ষদ এ বছর থেকেই বিষয় ভিত্তিক মডেল আনসার স্ক্রিপ্ট আগাম পাঠিয়েছে পরীক্ষকদের কাছে। ভুল থাকা খাতার পরীক্ষক, স্ক্রুটিনিয়ার এবং প্রধান পরীক্ষকদের সতর্কও করা হয়েছে।’ অন্যদিকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যর কথায়, ‘ভুল সংশোধনে আমরা রিজিয়ন ভিত্তিক প্রধান পরীক্ষকদের সঙ্গে শীঘ্রই বৈঠক করব। এত ভুল কেন হচ্ছে, সেটা তাঁদের কাছে জানতে যাওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেছেন, পরীক্ষকদের সঙ্গে জুম প্ল্যাটফর্মে মিটিং করে খাতা দেখার ক্ষেত্রে কোন ধরনের ভুল বেশি হচ্ছে, সেগুলো দেখিয়ে পরের বছরের পরীক্ষার মূল্যায়নে কী ধরনের আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা পরে জানানো হবে , যাতে রিভিউ ও স্ক্রুটিনিতে চাপ কম পড়ে।’