ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: দেশের বিভিন্ন রাজ্যে মিড ডে মিলের খাবারের মান নিয়ে নানা অভিযোগ কম বেশি সবসময়ই খবরের শিরোনামে উঠে আসে। তা নিয়েও বেশ কড়া পদক্ষেপ করতে ইতিমধ্যেই নড়ে চড়ে বসেছেন প্রশাসন। এছাড়াও প্রতিটি স্কুলে মিড ডে মিলের মাসিক রিপোর্ট জমা দিতে হয়। সেই রিপোর্ট PM পোষণ যোজনার ওয়েবসাইটে আপলোড করে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন। আর এবার সেই রিপোর্ট বিতর্ক নিয়েই এবার শিক্ষকদের বেতন নিয়ে টানাটানি পড়ল স্কুলগুলিতে!
ঘটনাটি কী?
সূত্রের খবর, ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকে। ওই ব্লকের স্কুলগুলিতে মিড ডে মিলের রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য শেষ তারিখ ছিল ৯ আগস্ট। কিন্তু, সেই তারিখ পেরিয়ে গেলেও BDO অফিসে রিপোর্ট জমা পড়েনি। সেই কারণে, BDO-র তরফে স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের একটি চিঠি পাঠানো হয়। যেখানে BDO তাপস পাল জানিয়েছেন, যেহেতু স্কুলগুলি ৯ তারিখের মধ্যে এ মাসের মিড ডে মিল রিপোর্ট জমা করেননি তাই তাদের বিগত মাসের মিড-ডে মিলের জন্য বরাদ্দ অর্থ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। পাশাপাশি এও নির্দেশ দেওয়া হয় মিড ডে মিলের অর্থ সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিজের বেতন থেকে প্রদান করবেন।
কী কারণে এই গাফিলতি?
আসলে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মৃত্যুর কারণে সমস্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর বৃহস্পতিবার স্কুল ছুটি থাকায় মিড-ডে মিলের রিপোর্ট পাঠাতে পারেনি স্কুলগুলো। স্বাভাবিকভাবেই, ওই স্কুলগুলোর রিপোর্ট এ মাসে PM পোষণ যোজনার ওয়েবসাইটে আপলোড করা সম্ভব হয়নি। যা রীতিমত বড় দুর্যোগ টেনে আনল স্কুলগুলিতে।
এই প্রসঙ্গে BDO তাপস পাল এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী মিড ডে মিল নিয়ে খুব সচেতন থাকতে হয়। কিন্তু এই স্কুলগুলো বিগত বেশ কয়েকদিন মিড ডে মিলের হিসাব দিতে চূড়ান্ত গাফিলতি ও অসহযোগিতা করছিল। ৯ তারিখের মধ্যে হিসাব দেওয়ার কথা অথচ প্রতিদিন ফোন এবং মেসেজ করেও ওনারা এড়িয়ে গিয়েছেন। সে কারণেই বাধ্য হতে এই নির্দেশিকা দিতে হয়েছে।’ যদিও, এই নির্দেশিকা নিয়ে সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলোর প্রধান শিক্ষকের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।