ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: গত কয়েক মাস ধরে লোকসভা নির্বাচনের ঝড় বয়ে গিয়েছে গোটা দেশ জুড়ে। আর সেই নির্বাচনের ফলাফলও বেশ অবাক করেছিল দেশবাসীকে। বিজেপি একা মাত্র ২৪০ টি আসন দখল করতে পেরেছে, যা সরকারের গঠনের জন্য খুবই কম ছিল। তাই এবার শরিকদের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন গত রবিবার। কিন্তু বাংলা দখল করতে গিয়ে বিরাট ধাক্কা খেতে হয়েছে বিজেপিকে। ২৯ খানা আসনে গেরুয়া শিবিরকে কুপোকাত করে দিয়েছে।
আর এবার ভোটে নির্বাচিত হয়ে একের পর এক দাবি মেটাতে তৎপর হয়ে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘদিনের DA বৃদ্ধির দাবি নিয়ে এবার বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের মাঝে এগরার জনসভায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে মে মাস থেকে নয়, বরং এপ্রিল থেকেই বর্ধিত হারে DA পেতে চলেছেন সরকারি কর্মচারীরা। সেই কথা মেনেই রাজ্য সরকারের কর্মীদের মুখে হাসি ফুটেছে। এপ্রিল থেকেই রাজ্যে DA ৪ শতাংশ বাড়িয়ে দেয় সকল সরকারী কর্মীদের। কিন্তু সুখবরের মাঝেই এক বড় আশঙ্কাই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। বিপাকে কর্মীরা।
ক্ষুব্ধ মমতা!
গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার নবান্ন বৈঠক ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। তবে প্রথম থেকেই মেজাজ একদম চড়া ছিল মমতার। ক্ষোভের মুখে পড়ল একাধিক দপ্তরের আধিকারিক-মন্ত্রী। কয়েকটি দপ্তরের কাজে যে তিনি একদমই সন্তুষ্ট নন, তাও তিনি স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিলেন তাঁর কথায়। এসবের মাঝেও এবারের বৈঠক যেন ছিল অন্যরকম। কারণ এদিনের বৈঠক সরাসরি সম্প্রচারিত হয়নি। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর সোশ্যাল মিডিয়াতেও বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিং হয়নি। প্রবেশাধিকার ছিল না সংবাদমাধ্যমও। কারণ একটাই। আসলে ভোটের সময়ে বিরোধী দলগুলোর মাধ্যমে একাধিক ফেক ভিডিয়ো, অডিয়ো ক্লিপ ছড়িয়ে পড়েছিল। যার দারুণ বেশ কয়েকবার বিপাকে পড়তে হয়েছিল রাজ্যের শাসক দলকে। কিন্তু পরে সেগুলি খতিয়ে দেখলে জানা যায় সেগুলি ফেক।
আরও পড়ুনঃ কপালে শনির দশা সোহমের! বড় অ্যাকশন হাইকোর্টের, বরবাদ হয়ে যাবে অভিনেতার কেরিয়ার
তাই মুখ্যমন্ত্রী এদিনের বৈঠকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তার ঘরে কোনও মন্ত্রী বা কোনও আধিকারিক ঢুকলে সবাই যেন মোবাইল বাইরে রেখে ঢোকেন, পাশাপাশি অর্থ ও স্বরাষ্ট্র দফতরে ঢোকার সময়ও মোবাইল বাইরে রেখে ঢুকতে হবে। পাশাপাশি নবান্নে সিসিটিভি আরও জোরদার করার জন্য এবং মনিটরিং বাড়ানোর জন্য সিনিয়র আইপিএস অফিসার মনোজ ভার্মাকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।