ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: রাজ্যে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর একাধিক প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছাত্র ছাত্রীদের জন্য যেমন চালু করা হয়েছিল সবুজ সাথী প্রকল্প, কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী তেমনই যুবকদের জন্য চালু হয়েছিল ঐক্যশ্রী। শুধু তাই নয় চালু করা হয়েছিল স্বাস্থ্য সাথী, রূপশ্রী ইত্যাদি প্রকল্প বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তবে এসবের মধ্যে যেই প্রকল্পটির প্রতি জনসাধারণের আকর্ষণ বেড়েছে তা হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। আর সম্প্রতি এই লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে উঠে এল এক বড় আপডেট।
২১ এর মঞ্চে লক্ষ্মীর ভান্ডার
২০২১ সালের ১৬ অগাস্ট থেকে চালু হয়েছিল লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। নিয়ম অনুযায়ী এই প্রকল্পে ২৫ বছর বয়স থেকে শুরু করে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত মহিলারা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদনের যোগ্য বলে বিবেচিত হয়ে থাকেন। এই প্রকল্পের আওতায় পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি পরিবারের মহিলাদের জন্য সরকারের তরফে মাসিক একটি ভাতা দেওয়া হয়। বর্তমানে প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে পান জেনারেল ক্যাটাগরির মহিলারা। তবে আগে দেওয়া হত ৫০০ টাকা। অন্যদিকে তফশিলি জাতি এবং তফশিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের মহিলারা মাসে ১২০০ টাকা করে পান। তাঁদেরও আগে দেওয়া হত ১০০০ টাকা করে। তবে ২১-এর মঞ্চে এক দারুণ আপডেট দেওয়া হল মা বোনদের সবচেয়ে প্রিয় প্রকল্প লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে।
লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে বড় আপডেট মমতার
তৃণমূলের শহিদ সমাবেশকে ঘিরে গতকাল অর্থাৎ রবিবার সকাল থেকেই লোকে লোকারণ্য ছিল ধর্মতলা চত্বর। আর সেই শত শত লোকের ভিড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক দারুণ ঘোষণা করেন। এদিন মঞ্চে তিনি জানান, ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার যেমন চলছে, তেমনই চলবে। এইমুহুর্তে বেশ কয়েকটি লক্ষ্মীর ভান্ডার পড়ে আছে। তবে চিন্তা নেই। পুজোর পরে তারা পেয়ে যাবেন। ডিসেম্বর থেকেই সরকার লক্ষ্মীর ভান্ডারের জন্য আবেদন নিয়ে কাজ শুরু করবে। লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী ও রুপশ্রী প্রকল্পের জন্য আমরা ৬০ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছি।পাশাপাশি কিছু বিধবা ভাতাও পড়ে আছে। পুজোর আগেই সেগুলোর রিভিউ করে নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুনঃ লক্ষ্মীর ভান্ডারের থেকেও বেশি, প্রতি মাসে ২০০০ টাকা দেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার
এছাড়াও তিনি বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত লক্ষ্মীর ভান্ডার ২ কোটিরও বেশি মহিলাকে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আমরা ৪৩ লক্ষ বাড়ি, এই ১২ বছরে করে দিয়েছি। কিন্তু ১১ লক্ষ লোকের বাড়ি এখনও তালিকা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পড়ে আছে। তাঁরা করে দেয়নি। কিন্তু আমরা করব। ওই ১১ লক্ষ মানুষের বাড়ি তৈরি জন্য মোট ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে দেব আমরা।