‘অর্থ দিয়ে অপমান, কার বুদ্ধিতে চলছেন মুখ্যমন্ত্রী!’ আরজি কর কাণ্ডে সরব মমতা শঙ্কর 

Published on:

Mamata Shankar

ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদ রীতিমত প্রশাসনের ভীত ক্রমেই নাড়িয়ে দিচ্ছে। শুধু সাধারণ জনগণ নয় এবার প্রতিবাদের সুর সমস্ত বিনোদন জগতে। একের পর এক বিস্ফোরক দাবি তুলছেন তাঁরাও। যাঁর মধ্যে অন্যতম হলেন অভিনেত্রী তথ্য নৃত্যশিল্পী মমতা শঙ্কর। আরজি কর কাণ্ডে যেন রীতিমত ফুঁসছেন তিনিও। মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুতে তিনি সমস্ত রাগ, ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে।

আরজি কর কাণ্ডে এবার মুখ খুললেন মমতা শঙ্কর

এক বিশেষ এবং জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম আরজি কর কাণ্ড প্রসঙ্গে মমতা শঙ্কররের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, ‘দেখতে দেখতে ১০ দিন হয়ে গেল। এখনও চুপ রাজ্য সরকার? আর প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার ফলে মনে এখনও অনেক প্রশ্ন জড়ো হচ্ছে। যেগুলির উত্তর অধরা। খুব অসহায় মনে হচ্ছে। যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা, তারপরেও তিনি কেন আরজি করে এলেন না একবারের জন্য? যে মুখ্যমন্ত্রী কিনা বারবার সবার বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি এখন কোথায়?’

WhatsApp Community Join Now

এদিন তিনি আরও বলেন, ‘যেখানে সেই মহিলা ডাক্তারকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হল সেটিকে কীভাবে আত্মহত্যা বলে প্রচার করা হল সেটাই এখনও মাথায় ঢুকছেনা। উপরন্তু প্রশাসনও সায় দিচ্ছে এই বিষয়ে। আর পরক্ষণেই একজনকে হুড়মুড় করে দোষী সাব্যস্ত করে দেওয়া হল। কীসের এত তাড়া? আর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় যে হাসপাতালে মেয়েটি মারা গেল কেন সেই হাসপাতালেই আবার ময়নাতদন্ত করা হল? শুধু তাই নয় যে সেমিনার হলে মেয়েটিকে খুন করা হল তার ১-২ দিন পরে কীভাবে আশেপাশের ঘরের মেরামতি শুরু হয়ে গেল!’

মুখ্যমন্ত্রী কার বুদ্ধিতে চলছেন? প্রশ্ন আরেক মমতার

এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও মুখ খুললেন মমতা শঙ্কর। তিনি বলেন, ‘অর্থ দিয়ে অপমান, অসম্মান, মৃত্যু কখনই কি কেনা যায়? তিনি আবার মানুষের দৃষ্টি ঘোরাতে এবং নিজেদের জনগণের কাছে ভালো দিক তুলে ধরতে মিছিল বের করলেন। সব মিলিয়ে সাধারণের দাবিকে রাজনৈতিক রং লাগালেন। কেউ কোনো প্রতিবাদ করল না। লজ্জাও করল না ওঁদের?’ তবে সর্বশেষে তিনি এটাই জানালেন যে মুখ্যমন্ত্রী কার বুদ্ধিতে চলছেন? কোথায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়? শুধু একটাই দাবি অপরাধীদের কঠিনতম শাস্তি দেওয়া উচিত। ফাঁসি নয়। যে কষ্ট পেয়ে নির্যাতিতা মারা গিয়েছে সেই একই কষ্ট দিতে হবে অপরাধীদের।

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন