ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সরকারের অন্যতম জনপ্রিয় প্রকল্প হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। আর এই প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে রাজ্য সরকার মহিলাদের মন জয় করেছে নিমিষেই। এমনই মত প্রকাশ করেছে রাজনৈতিকমহলের একাংশ। শুধু তাই নয়, কেউ কেউ আবার মনে করছেন, লোকসভা ভোটের লড়াইতে তৃণমূলকে অনেকটাই মাইলেজ দিচ্ছে রাজ্য সরকারের এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। সেই কারণে চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনের জনসভায় অমিত শাহ আরও একবার ক্ষমতায় আসার জন্য তৃণমূলের ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ কেই কাজে লাগিয়েছিলেন।
বিরোধীদের নিশানায় লক্ষ্মীর ভান্ডার
যখন ২০২১ সালে প্রথম লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প চালু করা হয়েছিল তখন সেই সময় রাজ্যে প্রত্যেক মহিলাকে ৫০০ টাকা এবং তফসিলি মহিলাদের ১০০০ টাকা করে দেওয়া চালু হয়েছিল। এরপর ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে এই টাকার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। ৫০০ টাকার থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১০০০ টাকা এবং ১০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১২০০ টাকা। এইভাবে কার্যত গোটা রাজ্যজুড়েই তৃণমূল কংগ্রেস নির্বাচনী হাতিয়ার হিসেবে তুলে ধরেছে এই প্রকল্প। যা বিরোধীদের কাছে এক বড়সড় চ্যালেঞ্জ।
লক্ষ্মীর ভান্ডারেই লুকিয়ে আছে জয়ের চাবিকাঠি
এবার সেই প্রকল্পকে কাজে লাগিয়েই পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনের লড়াইয়ে এক অভূতপূর্ব ফলাফল তৈরি করেছে। এক চালেই কুপোকাত হয়ে গিয়েছে সমস্ত বিরোধী পার্টি। নির্বাচনের আগে এই প্রকল্পের টাকা বৃদ্ধি করতেই আগের নির্বাচনে ৬-৬টি হারানো আসন পুনরুদ্ধার করার পাশাপাশি বহরমপুরে কংগ্রেসের থেকে একটি আসন রীতিমত ছিনিয়ে নিল তৃণমূল।
আরও পড়ুনঃ নীতীশ-নায়ডুকে ছাড়া NDA সরকার গঠন সম্ভব? নয়া সমীকরণে ঘুম উড়ল সবার
তবে সম্প্রতি আরও একবার লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা বৃদ্ধির খবর শোনা যাচ্ছে। কারণ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে ভোট আসলেই বড় ভূমিকা পালন করে এই প্রকল্প। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়িয়ে দেয় টাকার পরিমাণ। তাই আশা করা হচ্ছে আগামী দিনে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা ১০০০-১২০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫০০-২০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। অনেক মহিলা গ্রাহক এও মনে করছেন যে দিদি তাদের নিরাশা করবেন না, লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা অবশ্যই আরও বাড়াবেন।