ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: পাহাড় ভ্রমণ করতে কে না ভালোবাসে? তাইতো ভ্রমণপিপাসুরা হাতে লম্বা ছুটি পেলেই পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়ার টিকিট বুক করে নেন। অনেকেই ট্রেকিং এর জন্য দূর দূরান্তে যায়, নতুন অভিজ্ঞতা হাসিলের জন্য। তবে যাদের কাছে ট্রেকিং খুব একটা সহজ নয় তারা কিন্তু সান্দাকফুকেই বেছে নেন ট্রেকিং এর জন্য। তাইতো সান্দাকফু তাদের কাছে স্বর্গ, তাই এর আরেক নাম ট্রেকার্স প্যারাডাইস।
বিগত কয়েক বছরে সান্দাকফু ভ্রমণের জন্য পর্যটকদের সংখ্যা যেন ক্রমেই বেড়েই চলেছে। তবে এইমুহুর্তে এখন ইচ্ছা হলেই যেকোনো পর্যটক সান্দাকফু ভ্রমণ করতে যেতে পারবে না। কারণ জেলা প্রশাসন সান্দাকফু বেড়াতে আসা পর্যটকদের জন্য এক নয়া নিয়ম জারি করেছে। অবশ্যই সান্দাকফু ভ্রমণে সেই কঠোর নিয়ম মেনে চলতেই হবে। নইলে বড় মাশুল গুনতে হবে।
সান্দাকফু ভ্রমণের নয়া নিয়ম জারি!
আসলে বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে সঠিক শারীরিক সক্ষমতা না নিয়েই সান্দাকফু যাচ্ছেন অনেকে। এবং সেখানে গিয়ে অসুস্থ হচ্ছেন অনেক পর্যটক। সম্প্রতি পাহাড়ে ট্রেকিং করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে ৩ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। যার ফলে গোটা ঘটনায় রীতিমতো উদ্বেগ তৈরি হয়েছে পাহাড়ে। তাই পর্যটকদের শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে এক বড় উদ্যোগ নিতে চলেছে প্রশাসন। এখন থেকে সান্দাকফু বেড়াতে আসা পর্যটকদের জন্য বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্য পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, পাহাড়ি দুর্গম এলাকায় বিশেষ করে সান্দাকফুতে যেসব পর্যটক আসবেন, তাঁদের ফিটনেস সার্টিফিকেট দেখাতেই হবে। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় বেশিরভাগ পর্যটক সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে আসে এবং অবিলম্বে ৩৬৩৬ মিটার উচ্চতায় পৌঁছানোর সময় নানা ধরনের শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা দেখা যায়। তাই বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে সরকারের তরফে। চেকআপের পরে প্রতিটি পর্যটকদের সেদিন ট্রেক করার অনুমতিও দেওয়া হবে না।
এই সময়ে মানেভঞ্জন থেকে সান্দাকফু যাওয়া যাবে না!
এদিকে অতিরিক্ত উচ্চতার কারণে অন্ধকার এবং ঘন কুয়াশায় গাড়ি চালানো বেশ দুষ্কর হয়ে ওঠে। এবং নানা ভয়াবহ দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই দুপুর ২ টোর পর মানেভঞ্জন থেকে সান্দাকফু যাওয়ার জন্য যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হবে না। কারণ ৩২ কিলোমিটার দূরত্বে মানেভঞ্জন থেকে সান্দাকফু পর্যন্ত গাড়ি চালাতে প্রায় ৪ ঘন্টা সময় লাগে। বেলা বাড়লে গাড়ি চালানো বেশ চাপের হয়ে যাবে। প্রসঙ্গত তিন মাস পর অবশেষে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে পর্যটকদের জন্য আবার খুলে গিয়েছে সান্দাকফু।