প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত ৯ আগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের প্রতিবাদে স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন অর্থাৎ ১৪ আগস্ট রাত দখল কর্মসূচি ছিল সাধারণ মানুষদের। সেই কারণে রাতে হাসপাতালের সামনে প্রচুর মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। কিন্তু এদের মধ্যেই একদল দুষ্কৃতী হাসপাতালে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এমনকি জরুরি বিভাগও তছনছ করে দেয়। কিন্তু ভিডিও ফুটেজ লক্ষ্য করলে দেখা যায় সেই দুষ্কৃতীদের কারও কারও হাতে ছিল ডিওয়াইএফআইয়ের পতাকা। এছাড়াও সেদিন নাকি হাসপাতালের সামনে বামেদের যুব সংগঠনের কর্মসূচিও ছিল। তাই শাসকদল তৃণমূলের একাংশের দাবি ‘সেদিন রাতে আরজি কর হাসপাতালে হামলার নেপথ্য ছিল ডিওয়াইএফআই’। তাই এবার সেই ঘটনা নিয়ে তদন্ত করতে ময়দানে নামল CBI।
মীনাক্ষীকে CBI তলব
সূত্রের খবর, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় আরজি কর কাণ্ডে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে CBI তলব করা হয়েছে। গত ১৪ আগস্ট রাতে মেডিক্যাল কলেজে ভাঙচুর হওয়ার ঘটনাকে ঘিরে এদিন ডিওয়াইএফআই নেত্রী মীনাক্ষীকে তলব করতে চলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তথা CBI। এর আগে একবার এই ঘটনার ভিত্তিতে CBI তলব করা হয়েছিল মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে। কিন্তু সেইবার রায়গঞ্জে দলীয় কর্মসূচি থাকার কারণে হাজিরা এড়িয়েছিলেন। কিন্তু জানা যাচ্ছে এবার সঠিক সময়ে CBI এর সঙ্গে দেখা করবেন মীনাক্ষী।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট কলকাতা পুলিশের
গত ১৪ আগস্ট রাতে ইমারজেন্সি বিল্ডিংয়ে ৩ তলা পর্যন্ত ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছিল দুষ্কৃতীদের দল। আর ওই ভবনেরই ৪ তলা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল সেই তরুণী চিকিৎসকের রক্তাক্ত মৃতদেহ। আশঙ্কা করা হচ্ছিল, সেই হামলা আদতে ক্রাইম সিনে ভাঙচুর চালাতেই হয়ে থাকতে পারে। সেই হামলায় বেশ কিছু রাজনৈতিক কর্মীকে একটি দলের ঝাণ্ডা হাতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু তাদেরকে সেই সময় ধরা হয়নি। পরে তাদের ছবি সার্কেল করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিল কলকাতা পুলিশ। এমনকি তাদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্যে সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। পড়ে সেই ৪৪ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ মামলা খারিজ করবে না হাইকোর্ট, কমিশনার পদ খুইয়েও শান্তি নেই বিনীত গোয়েলের
প্রসঙ্গত, গতকাল এই ধৃত ৪৪ জনকে শিয়ালদা আদালতে পেশ করা হয়েছিল। সেখানে আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁদের জেল হেফাজতেই থাকতে হবে। অন্যদিকে বামেদের দাবি গত ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালের সেই দ্বিতীয় বর্ষের তরুণী চিকিৎসকের দেহ আটকে ময়নাতদন্ত করানোর ঘটনায় একমাত্র এই যুবনেত্রী মীনাক্ষীর জন্যেই সম্ভব হয়েছিল।