ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ সরকার এর কপালে ক্রমেই একের পর এক দুর্নীতির চাপ যেন বেড়েই চলেছে। চাকরি চুরি থেকে শুরু করে রেশন চুরি, কয়লাপাচার কাণ্ড থেকে শুরু করে গোরুপাচার কাণ্ডে রীতিমত নাজেহাল অবস্থা সকলের। আর এই সকল মামলার জেরে রাজ্যের তাবড় তাবড় নেতারা এখনও জেলবন্দি হয়ে রয়েছে। তবে সম্প্রতি তৃণমূল সরকারের সম্মুখে আরও এক দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছে রাজনীতিবিদদের একাংশ। আর তা হল মিড ডে মিল এর দুর্নীতি।
মিড ডি মিলে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অনেকদিন ধরেই নানা অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এমনকি গত বছরের নভেম্বরে এই নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুধু তিনি নন। মিড ডে মিল নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তিনি ৪ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে।
নয়া দুর্নীতির মুখে রাজ্য সরকার
একই অভিযোগ তুলেছিলেন তৎকালীন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। তবে সেই সকল দুর্নীতিমূলক অভিযোগ এক লহমায় উড়িয়ে দেয় তৃণমূল সরকার। তবে এবার মিড ডে মিল প্রসঙ্গে খানিক চাপেই হয়ত পড়েছেন। এ রাজ্যের শাসক দল তথা সরকারকে নিশানা করে নানান দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে হামেশাই সরব হয় বঙ্গ পদ্ম শিবির। তবে এবার এক হাতে রাজ্যকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে তৎপর হয়ে উঠলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
আরও পড়ুনঃ অ্যাকাউন্টে ঢুকবে বাড়তি টাকা! DA নিয়ে নয়া নোটিফিকেশন, বাংলার সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর
সূত্রের খবর, চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনে তৃতীয়বার মোদী সরকার গঠনের পর সুভাষ সরকারের বদলে শিক্ষা মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। আর সেই দায়িত্ব কাঁধে নিয়েই বাংলায় মিড ডে মিলের দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের বিষয়ে তৎপর হলেন তিনি। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই CBI কে চিঠি লেখার জন্য শিক্ষা মন্ত্রকের আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন সুকান্ত। রাজ্যে মিড ডে মিল দুর্নীতির তদন্তের স্ট্যাটাস কী সেই সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য জানাতে চাইতে বলেছেন আধিকারিকদের।