ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: অবশেষে বঙ্গে আগমন বর্ষার। আর বর্ষা মানেই ‘রুপোলি শস্য’ পাতে পড়ার আনন্দ আট থেকে আশির। তাই রীতিমত বৃষ্টির ফোঁটা পড়তে না পড়তেই বাজারের ব্যাগ হাতে নিয়ে সোজা মাছের বাজারে ঢুঁ মারছেন অনেকে। কেউ কেউ আবার মাছ বিক্রেতাদের অগ্রিম অর্ডার দিয়ে রাখছেন।
এদিকে পর পর টানা দু’মাস মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। এরপর দুই মাস কাটতে না কাটতেই গত ১৫ জুন গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য জোর কদমে প্রস্তুতি নেন মৎস্যজীবীরা। ট্রলার, মাছের জাল নিয়ে রীতিমত মা গঙ্গার নাম করে পাড়ি দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু এবার প্রথম থেকেই জালে কম পরিমাণে ইলিশ এসেছে। তবে ইলিশের বদলে জালে ধরা দিয়েছে মাছের বদলে অন্য সামুদ্রিক প্রাণী।
মাছের জালে ইলিশের বদলে উঠে এল অন্য সামুদ্রিক প্রাণীর দল!
সূত্রের খবর, মৎস্যজীবীরা গভীর সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিলেন মূলত ইলিশ ধরার আশায়। কিন্তু এবার প্রথম থেকেই জালে কম পরিমাণে ইলিশ ওঠায় বেশ চিন্তায় পড়েছিল মৎস্যজীবীরা। তবে সেই চিন্তায় এবার খানিক আশার আলো দেখতে পেল মৎস্যজীবীরা। কারণ মাছের রাজা ইলিশ না উঠলেও তার বদলে জালে এসেছে টন টন সামুদ্রিক কাঁকড়া। একেবারে বাজার ভরে উঠেছে কাঁকড়ায়। জানা গিয়েছে, যে সকল কাঁকড়া এখন আসছে সেগুলি গভীর সমুদ্র থেকে আসছে। স্থানীয় বাজারে এই কাঁকড়াগুলির দাম সবসময় ওঠানামা করে। প্রায় ১৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা প্রতি কিলোতে বিক্রি হয় এই কাঁকড়া। আর বেশ জমিয়ে কিনছে ক্রেতারা।
আরও পড়ুনঃ Airtel, Jio-র দামি প্ল্যানের চিন্তা দূর! এখনও সস্তায় করতে পারবেন রিচার্জ, রইল উপায়
এই প্রসঙ্গে সাউথ সুন্দরবন ফিশারম্যান ফিশ ওয়ার্কার ইউনিয়নের সম্পাদক হারাধন ময়রা জানিয়েছেন, ‘এই সময় ট্রলি ফিশিং-এ সামুদ্রিক কাঁকড়ার দেখা মিলছে। বঙ্গোপসাগরের মোহানায় সুন্দরবনের যে কাঁকড়া তার স্বাদ অতুলনীয়। সেই কাঁকড়া বিদেশে পাঠানো হয়। এই কাঁকড়া খাঁড়ি এলাকাতে বেশি পাওয়া যায়। তাই ইলিশ না পাওয়ার দুঃখ খানিক ঘুচেছে মৎস্যজীবীদের।’