ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: আর কিছুদিন পরেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব আসতে চলেছে। বছর ঘুরে ঘরে আসবে উমা। কিন্তু সেই উৎসবে এবার যেন এক অন্যরকম শব্দ শোনা যাচ্ছে। হই হুল্লোড় এবং আনন্দের মাঝে ভেসে আছে বিষাদ মাখানো প্রতিবাদী ধ্বনি। যে রাস্তা রঙিন হয়ে উঠবে আলো আর আলপনায়, সেই রাস্তায় এখন লেখা হচ্ছে প্রতিবাদের ভাষা। আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের বিচার চেয়ে দিকে দিকে উঠেছে প্রতিবাদের ঝড়। আর তাই সঠিক বিচারের তাগিদে বেশিরভাগ পুজো কমিটি ফেরৎ দিয়ে দিচ্ছে দুর্গাপুজোর অনুদান। আর সেই সুবাদে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন।
পুজোর অনুদান নিয়ে বড় পদক্ষেপ নবান্ন-র!
সূত্রের খবর, গত ২৩ জুলাই নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুজো অনুদান বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছিলেন। আর সেই আবহে পুজোর দিন দশেক আগেই প্রত্যেকটি ক্লাব-পুজো কমিটিগুলির জন্য দুর্গাপুজোর অনুদানের চূড়ান্ত প্রশাসনিক প্রস্তুতিতে ছাড়পত্র দিয়েছে নবান্ন। কিন্তু আগামী ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেই টাকা না ছাড়ার ব্যাপারে প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। আসলে কয়েকটি পুজো কমিটি ‘প্রতিবাদে’ ইতিমধ্যেই সেই অনুদান প্রত্যাখ্যান করার ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে যে পরে প্রত্যাখ্যানের তালিকা দীর্ঘ হবে, যা ভবিষ্যৎ এ প্রশাসনের পক্ষে খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে উঠবে। মূলত পুজো অনুদান বিলির দায়িত্ব থাকে প্রধানত পুলিশের উপরেই।
একটি সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, গোটা রাজ্যে ৪৫ হাজার ৩৩৬টি ক্লাব-পুজো কমিটি রয়েছে। রাজ্য পুলিশের আওতায় রয়েছে ৪২ হাজার ৩৩৬টি ক্লাব-কমিটি। সেই কারণে ৩৫৯ কোটি ৮৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা কোষাগার থেকে তোলার অধিকার দেওয়া হয়েছে রাজ্য পুলিশকে। আর জেলায় জেলায় সেই কাজ করবেন একমাত্র পুলিশ সুপার বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনও পুলিশ আধিকারিক।
অন্যদিকে আবার কলকাতা পুলিশের অধীনে রয়েছে তিন হাজার পুজো। যার ফলে কলকাতা পুলিশকে ২৫ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা এই খাতে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে নবান্ন। তবে সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নয়, ‘অ্যাকাউন্ট পেয়ি’ চেকের মাধ্যমে পুজো উদ্যোক্তা ক্লাব-কমিটিগুলিকে অনুদান দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতর।