সিভিকদের জারিজুরির দিন শেষ, নবান্নর তরফে জারি কড়া নির্দেশিকা! স্বস্তিতে জন সাধারণ

Published on:

Nabanna

ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে সিভিক ভলেন্টিয়ার এই নামটি বেশ কয়েকদিন যাবৎ খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে। কখনও রাস্তায় দাদাগিরি তো কখনও নারীদের সম্মানহানি কাণ্ডে বারবার উঠে এসেছে এই সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নাম। দিনে দিনে তাঁদের কর্মকাণ্ড ক্রমেই নিয়ম লঙ্ঘন করছে। তাই এবার সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের কাজকর্ম নিয়ে কড়া নির্দেশনা প্রকাশ করল নবান্ন।

বেনিয়মে সিভিক ভলেন্টিয়াররা!

নবান্ন সূত্রে খবর, সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে যে আইন তৈরি করা হচ্ছে সেটা উপেক্ষিত হচ্ছে। এবং তার প্রমাণ ইতিমধ্যেই প্রশাসনের হাতে এসেছে। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় রাজ্য পুলিশের এখন অধিকাংশ থানায় সিভিক ভলান্টিয়ারাই ভরসা হয়ে উঠেছে। রীতিমত তাঁরা তদন্তের কাজে যুক্ত হচ্ছে। এমনকী কেন্দ্রের বিভিন্ন পোর্টালে ডেটা আপলোড করা–সহ এমন অনেক কাজই করছেন যা তাঁদের কাজের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। তাঁরা থানায় বসে নানা কাজে যুক্ত হচ্ছেন। সম্প্রতি আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে খুন ধর্ষণের ঘটনায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের দেখা গিয়েছে তথ্য সংগ্রহ করানো হচ্ছে। তাই এবার সেই নিয়ে গর্জে উঠেছে অনেকে।

WhatsApp Community Join Now

নয়া নির্দেশিকা নবান্নর!

তাই এবার সিভিকদের উদ্দেশ্যে বড় নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন। কড়া ভাষায় বলা হয়েছে, অনৈতিক কাজ থেকে সিভিকদের বিরত থাকতে বলা হচ্ছে। এবং নয়া নির্দেশিকায় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সিভিকদের কী কী অধিকার থাকবে তা উল্লেখ করা হবে। আসলে বর্তমানে থানাগুলিতে পুলিশ কর্মীর সংকট দেখা গিয়েছে। তাই রাজ্য সরকার সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করে সেই সংকট মেটানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তাতে যে পুলিশকর্মীরা নিজেদের কাজ সিভিক ভলান্টিয়ারদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। অথচ সরকারি নির্দেশিকায় উল্লেখ রয়েছে, তাঁরা শুধুমাত্র ‘সহযোগী’ হিসেবেই কাজ করবেন। বেশিরভাগ জেলায় আবার সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে আইনশৃঙ্খলার কাজ করানো হচ্ছে। কেউ যাতে তা ধরতে না পারে তাই তাঁদের পরানো হচ্ছে জলপাই রঙের পোশাক। তাঁদের হাতে আবার দেওয়া হচ্ছে লাঠি, ওয়াকিটকিও।

আরও পড়ুনঃ আরেকটি নতুন রেলপথ পাচ্ছে বাংলা, বরাদ্দ হল কয়েক কোটি টাকা

প্রসঙ্গত, আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় উঠে আসা সিভিক ভলান্টিয়ারের মোটরবাইকেও নাকি কলকাতা পুলিশের লোগো দেখা গিয়েছে। এদিকে থানায় কর্মরত সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে তল্লাশির কাজেও যাচ্ছেন কিছু অফিসার। যার ফলে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাসাজশে নানা গোপন তথ্য পাচারের মারাত্মক অভিযোগও উঠছে। এমনকী কেস ডায়েরিও অর্থের বিনিময়ে অন্য জায়গায় পাচার করে দেওয়ার মত অভিযোগও উঠে আসছে। তাই এবার রীতিমত বাধ্য হয়েই সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্য সরকারি নির্দেশিকা তৈরি হচ্ছে।

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন