ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: যাত্রীদের সুবিধার্থে একের পর এক উদ্যোগ নিয়েই চলেছে রেল। লোকাল ট্রেনে যেমন সুবিধা দিচ্ছে তেমনই দূরপাল্লার ট্রেনগুলোতেও থাকছে অভাবনীয় সুবিধা। ট্রেনের টিকিট বুকিং থেকে শুরু করে খাওয়া দাওয়ার ব্যাবস্থা, সবেতেই দুর্দান্ত পরিষেবা প্রদান করছে রেল। কিন্তু সবেতেই ভালো পরিষেবা মিললেও একটি পরিষেবায় বেজায় দুর্বিপাকে পড়েন যাত্রীরা। আর সেটি হল রেলের শৌচাগার।
ট্রেনের শৌচাগারের দুর্গন্ধে নাজেহাল অবস্থা যাত্রীদের। বারে বারে অভিযোগ জানালেও কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় শৌচাগার বিষয়ক একের পর লম্বা পোস্টের অভিযোগ করেও কিছুই হয়নি। তবে এবার খানিক চিন্তামুক্ত হল রেল। অবশেষে নড়ে চড়ে বসল পূর্ব রেল। রেলের শৌচাগারগুলির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং স্বাস্থ্যবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য পূর্ব রেল নিয়ে এসেছে আইওটি ভিত্তিক ব্যবস্থা। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘গন্ধভেদ’। এবার থেকে হাওড়া-শিয়ালদা ডিভিশনে যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্যের দিক থেকে পেতে চলেছে বিরাট সুবিধা।
গন্ধভেদ ডিভাইস কী?
এই ডিভাইটি হল ট্রেনের শৌচাগারের গন্ধ বোঝার বিশেষ সেন্সর। যা অ্যামোনিয়া, হাইড্রোজেন সালফাইড, মিথেন, ট্রাইমিথাইল অ্যামাইন, মিথাইল মারক্যাপ্টান, ইথানল ইত্যাদি সহজেই শনাক্ত করতে পারে। শুধু তাই নয়, মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক পদার্থও চিহ্নিত করা সম্ভব হয়।
কোথায় ব্যবহৃত হবে?
রেল সূত্রের খবর, হাওড়া ডিভিশনের মোট ৩টি ট্রেন, শিয়ালদহ ডিভিশনের মোট ৩টি ট্রেন, আসানসোল ডিভিশনের মোট ২টি ট্রেন এবং মালদহ ডিভিশনের মোট ২টি ট্রেনে ‘গন্ধভেদ’ ডিভাইস দিয়ে ট্রায়াল হবে। ডিভাইসটি ট্রেনের টয়লেটের অবস্থা নিয়ে একটি সংকেত তৈরি করবে। এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছে SMS এবং ওয়েবের মাধ্যমে সেই সংকেত যাবে। সঙ্গে সঙ্গে কর্মীকে পাঠানো হবে টয়লেটে পরিষ্কার করার জন্যে। পরীক্ষামূলকভাবে সফলতা আসলে প্রতিটি দূরপাল্লার ট্রেনে এই ডিভাইস ব্যবহার করা হবে।