ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সুখের সময় শেষ! পুজোর ছুটিতেও থাকবে কাজের ওভারলোড! গরমের ছুটি হোক কিংবা পুজোর ছুটি, এই দুই ছুটির জন্য যেমন পড়ুয়ারা মুখিয়ে থাকে তেমনই একই অবস্থা হয় শিক্ষক, শিক্ষিকাদের। ছুটি পড়ার আগেই শুরু হয়ে যায় ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যানিং প্লটিং। কিন্তু এবার সেই প্ল্যানেই জল ঢেলে দিল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
চলতি বছর মাধ্যমিক পাশ করে যে সকল পড়ুয়ারা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে চলেছে তারা এবার নতুন সিলেবাস অনুযায়ী পড়াশোনা শুরু করবে। অর্থাৎ সেমিস্টার পদ্ধতি চালু হতে চলেছে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের। কিন্তু এরই মাঝে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে রাজ্যের সমস্ত উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্য অ্যানুয়াল ওয়ার্কিং প্ল্যান জারি করেছে। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ সকলের। নতুন শিক্ষাবর্ষে আরও একবার নতুন পরিকল্পনা নিল শিক্ষা সংসদ।
পুজোর ছুটিতেও পড়াশোনা!
ক্লাস শুরু হবার আগে থেকেই এবার জোর দেওয়া হচ্ছে অনলাইন পড়াশোনায়। সম্প্রতি একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্য যে অ্যানুয়াল ওয়ার্কিং প্ল্যান জারি করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে পুজোর টানা ছুটির মাঝে অর্থাৎ ১৭-৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ১৪ দিন অনলাইন ক্লাসের ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য সোমবার বলেন, ‘শুধু শিক্ষাবর্ষের শুরুতে মে মাসের মাঝামাঝি অনলাইনে ক্লাস নেওয়া হবে, এমন নয়। আমরা পুজোর টানা ছুটির মাঝে (১৭-৩০ অক্টোবর পর্যন্ত) ১৪ দিন অনলাইন ক্লাসের কথাও ভেবেছি।’
কেন নেওয়া হল এমন সিদ্ধান্ত?
পুজোর সময়ে অনলাইন মোডে পড়াশোনা চালু রাখার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘এ বছর একাদশে সেমেস্টার পদ্ধতিতে পড়াশোনা চালু করা হচ্ছে। তাতে কোন বিষয়ে কতক্ষণ ক্লাস নিতে হবে, তার কনট্যাক্ট আওয়ার্স নির্দিষ্ট করা হচ্ছে। প্রতিটি বিষয়ে প্রথম সেমিস্টারে ১০০ ঘণ্টা, দ্বিতীয় সেমিস্টারে ৮০ ঘণ্টা এবং টিউটোরিয়াল ক্লাসের জন্য ২০ ঘণ্টা করে সময় ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে। তাই পুজোর টানা ছুটির মাঝেও অনলাইন ক্লাস নেওয়ার ভাবনা রয়েছে।’
আরও পড়ুনঃ SSC মামলায় ফের হাইকোর্টের তোপের মুখে রাজ্য! এবার যা বলল আদালত, চুপ সবাই
শিক্ষা সংসদের নেওয়া এই নয়া পরিকল্পনাকে সাধুবাদ জানিয়ে শিক্ষামহলের একাংশ জানিয়েছে যদি এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়, তাহলে প্রাথমিক স্তরের সঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিকের দীর্ঘদিনের একটি বৈষম্যের সমাধান হবে। কারণ, লক্ষ্মীপুজোর পর থেকে কালীপুজোর আগে পর্যন্ত সময়ে উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে স্কুল ছুটি থাকলেও প্রাথমিকের খুদে পড়ুয়াদের স্কুলে হাজির হয়ে ক্লাস করতে হয়।