ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: দেশের লাইফলাইন ভারতীয় রেল যাত্রীদের সুবিধার্থে একের পর এক নয়া উদ্যোগ নিয়েই চলেছে। রেল সম্প্রসারণ থেকে শুরু করে একাধিক উন্নত প্রযুক্তি রেল পরিষেবার মানকে উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি দক্ষিণ দিনাজপুরে বালুরঘাট-হিলি রেললাইন সম্প্রসারণ নিয়ে বড় আপডেট দিল ভারতীয় রেল।
সূত্রের খবর, ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে বালুরঘাট-হিলি রেল প্রকল্পের জন্য জমি সমীক্ষা এবং অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়েছিল ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে। এরপরে জেলা প্রশাসনের হাতে কিছু জমি এসেছে। তবে এই প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় আরও কিছুটা জমি এখনও বাকি। তাই এই আবহে প্রথম পর্যায়ে রেলের হাতে কিছুটা জমি তুলে দিতে উদ্যোগী হয়েছে জেলা প্রশাসন। জানা গিয়েছে ধাপে ধাপে জমি দিতে চায় দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা প্রশাসন। তবে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘আগামী এক মাসের মধ্যে কিছু জমি প্রথম পর্যায়ে রেলের হাতে তুলে দেওয়া হবে।’
অবশেষে জমি জট কাটল রেলের!
জমি দেওয়া প্রসঙ্গে জেলাশাসক জানিয়েছেন, ‘প্রাথমিক ভাবে কিছুটা জমি আগামী এক মাসের মধ্যে পুরোপুরি জেলা প্রশাসনের হাতে চলে আসবে। তখন রেলের কাজ করতে বাঁধা থাকবে না। আসলে নতুন লাইন তৈরি করতে দেড় হাজারেরও বেশি ‘প্লট’ থেকে জমি নিতে হচ্ছে। এদিকে এর মাঝেই লোকসভা নির্বাচন এসে যাওয়ায় জমি অধিগ্রহণের কাজ বন্ধ ছিল।’
অন্যদিকে গতবছরই কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে দেখা করে দক্ষিণ দিনাজপুরের একাধিক রেল প্রকল্প সম্পন্ন করার বিষয়ে দাবিপত্র জমা দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এরপরই হিলি রেল লাইন সম্প্রসারণ প্রসঙ্গে নড়েচড়ে বসে কেন্দ্রীয় সরকার। জানা যায় এই প্রকল্পে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা খরচ করতে চলেছে রেল। এবং জমি অধিগ্রহণের সেই পুরো টাকাটাই প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরেও সেভাবে কাজ এগোয়নি। তবে এবার এক মাসের মধ্যেই এই প্রকল্পের জট ছাড়াতে পারে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে।
আরও পড়ুনঃ জুলাই থেকেই অ্যাকশন, এবার আবাস যোজনা নিয়ে মাঠে নামল পশ্চিমবঙ্গ সরকার! সুখবর সবার জন্য
এদিকে প্রশাসনের তরফে জমি দিতে অনেক দেরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। বিজেপি নেতা শুভেন্দু সরকার বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের উচিত দ্রুত জমি দিয়ে দেওয়া।’ তাঁর এই মন্তব্যে পাল্টা জবাব দেয় তৃণমূল নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র। তিনি জানান, ‘কাজ করতে চাইলে জমি সমস্যা হবে না। তবে বিধি মেনেই তো জমি অধিগ্রহণের কাজ হবে। ঠিক সময়মত রেলকে জমি দেওয়া হবে।’