ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: কয়েকমাস আগে সমুদ্রে মাছ ধরা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল রাজ্য সরকার। এরপর ২৫ দিন আগেই সমুদ্রে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা উঠে গিয়েছে। আর তারপরেই মাছের সন্ধানে সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছে মৎস্যজীবীদের হাজার হাজার ট্রলার। মূলত ইলিশের সন্ধানেই পাড়ি দিয়েছেন তাঁরা। তবে ভরা বর্ষার মরশুম এলেও এখনও মাছের আরতে সেভাবে দেখা নেই ইলিশের। যার জেরে বেজায় চিন্তায় পড়েছে মৎস্যজীবীরা। কারণ জালেও উঠছে খুব কম ইলিশ।
কেজি প্রতি মাছ ২২ হাজার টাকায়!
কিন্তু দেখা গিয়েছে ইলিশের সন্ধান না মিললেও বেশ কয়েকটি অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের সন্ধান মিলেছে প্রচুর। আর এই আবহেই এবার মৎস্যজীবীদের জালে উঠল ১১ কেজি ওজনের একটি তেলিয়া ভোলা মাছ৷ যেটি কিনা বিক্রি করে মিলল প্রায় আড়াই লাখ টাকায়। সূত্রের খবর, দিঘা মোহনার মৎস্যজীবীদের জালে অন্যান্য মাছের সঙ্গে ধরা পড়েছে একটি বড় সাইজের তেলিয়া ভোলা মাছ। যেটি কিনা জালে পড়তেই দিঘা মোহনায় মাছের আরতে নিলামে উঠল। আর কেজি প্রতি এই মাছ ২২ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ইলিশের বদলে মিলল অন্য বিরল সামুদ্রিক মাছ
এর আগে গত মাসেও দিঘায় মৎস্যজীবীদের জালে ওঠে আরও একটি তেলিয়া ভোলা মাছ। সেটির ওজন ছিল ১৮ কেজি। মাছটি কাঁথি থানার দু’নম্বর ব্লকের বাসিন্দা সুভাষ জানার ট্রলারে ওঠে। দিঘা মোহনার জিএনএফটি কাঁটায় মাছটিকে নিলামে তোলা হয়েছিল। যা দেখতে ভিড় জমিয়েছিল হাজারের বেশি দর্শক। অন্যদিকে বৃষ্টির আকাল এবার চোখে পড়ার মত। সমুদ্রের জল গরম থাকায় ইলিশ সেভাবে পাওয়া যাচ্ছে না বলে অনেকে মনে করছেন মৎস্যজীবীরা।
আরও পড়ুনঃ চরম নাটক, রাতারাতি ইস্টবেঙ্গলে সই আনোয়ারের! জেনে যা করছে মোহনবাগান, কাঁপবে ময়দান
এই প্রসঙ্গে দিঘা মোহনার মৎস্য ব্যবসায়ী শ্যামসুন্দর দাস বলেন, ‘মরশুমের ফসল ইলিশের দেখা নেই। তবে অন্যান্য মাছের সঙ্গে মরশুমে বেশ কয়েকটি তেলিয়া ভোলা ধরা পড়েছে মৎস্যজীবীদের জালে। এই মাছের পটকা ওষুধ তৈরির কাজে লাগে এবং মাছটি সুস্বাদু হওয়ায় ভালো দামে বিক্রি হয়।’