গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহে পুড়ছে বাংলাসহ গোটা রাজ্য। তাপমাত্রা যেন ৪০ এর নিচে নামছেই না। বরং দিন যত এগোচ্ছে তাপমাত্রা আরও ৩-৪ ডিগ্রী বাড়ছে। এমনই চিত্র কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের। কম পুড়ছে না পশ্চিমের জেলাগুলিও। এই অবস্থায় পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখেই নির্ধারিত সময়ের আগেই গরমের দীর্ঘ ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। এদিকে গরমের জ্বালায় পড়াশোনায় বিপুল ক্ষতির মুখে পড়ুয়ারা। তবে কি করোনার স্মৃতি আবার ফিরে এল?
গরমের ছুটির নোটিশ সরকারি স্কুলগুলিতে
একে তো গরমের তীব্রতা শুরু হয়ে গিয়েছে। তার উপর ভোটের উত্তেজনাও ক্রমশ বাড়ছে বঙ্গে। তাই পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে প্রত্যেকটি সরকারি স্কুল এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে গত ২২ এপ্রিল থেকে গরমের ছুটি পড়ে গেছে। পাশাপাশি রাজ্য সরকার শহরের বেশিরভাগ বেসরকারি স্কুলগুলিতে বাইরের প্রচণ্ড গরম থেকে বাঁচতে অনলাইন ক্লাস নেওয়ার আবেদনও জানিয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে যাতে পড়াশোনার ক্ষতি না হয় তার জন্য সরকার নিল এক নয়া উদ্যোগ।
সরকারের নয়া উদ্যোগ
পুরোনো নির্দেশিকা অনুযায়ী ৬ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত গরমের ছুটি থাকার কথা ছিল। কিন্তু তীব্র গরমে সেই গরমের ছুটির পরিবর্তন ঘটে। কিন্তু ছুটি এগিয়ে এলেও সিলেবাস শেষ না হওয়ার চিন্তা থেকেই যায়। তাই এবার সেই অসুবিধা দূর করতে ফিরল অনলাইন ক্লাস। যাতে পড়ুয়াদের পড়াশোনার মাঝে শিক্ষার কোনো গ্যাপ না থাকে।
ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি স্কুলে অনলাইন মোডের ক্লাস শুরু হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল শ্যামনগরের সেন্ট জেমস স্কুল ও সেন্ট অগাস্টিন ডে স্কুল। সোমবার থেকেই এই স্কুলগুলোর অনলাইন মোডে ক্লাস শুরু হয়ে গিয়েছে। যাতে সিলেবাস শেষ করতে কোনো অসুবিধা না হয়। পাশাপাশি বেশ কিছু বেসরকারি স্কুলগুলিতেও অনলাইন মোডে ক্লাস শুরু করার পরিকল্পনা করছে। তার মধ্যে অন্যতম হল শ্যামবাজার পার্ক ইনস্টিটিউশন, যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুল ইত্যাদি।