ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: কথায় আছে মাছে ভাতে বাঙালি। তাইতো মাছ অপ্রিয় বাঙালি খোঁজা খুবই দুষ্কর। চিংড়ি, পাবদা থেকে শুরু করে রুই, কাতলা কোনোটাই বাদ যায় না। তাহলে ইলিশ কেন? সেইজন্যই বৃষ্টির জল গায়ে পড়তে না পড়তেই বাজারে ছুট দিয়েছে ইলিশ প্রিয় বাঙালিরা। কিন্তু এর দাম শুনেই ভিড়মি খাচ্ছে সকলে। বাজারে ইলিশ মাছ কিনতে এসেছে নাকি বিয়ের জন্য ভারী সোনার গয়না। কারণ বাজারে এক মণ ইলিশের দাম উঠেছে লাখ টাকা! শুনতে অবাক লাগছে নিশ্চয়ই? তাহলে আজকের প্রতিবেদনের মাধ্যমে সম্পূর্ণটা পড়ে নিন বিস্তারিত।
বর্ষার আগমন প্রায় চলেই এল। আর তার আগেই এবার বাজারে ঢুকে পড়েছে বাংলাদেশি ইলিশ। গত সপ্তাহের কালবৈশাখীর দাপট এবং ঝড়-বৃষ্টির কারণে আবহাওয়ার বেশ পরিবর্তন ঘটায় তাই ইলিশের আগমন। তাই এই সময় যদি ভাতের সঙ্গে প্রিয় মাছের আহার মেলে তাহলে তো সোনায় সোহাগা। কিন্তু সেই স্বপ্নেও খানিক যেন বাঁধা টানল দাম। ইলিশের আকাশছোঁয়া দামে মাথায় হাত পড়ল ক্রেতাদের।
ইলিশের দামে চোখ ছানাবড়া ক্রেতাদের!
বলা হয় মাছের রাজার রাজধানী দক্ষিণের জেলা চাঁদপুর। সেখানের হাইমচরের চরভৈরবী থেকে মতলবের ষাটনল পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনা-যমুনার ৭০ কিলোমিটার নদী এলাকায় সব থেকে বেশি ইলিশ মেলে। কিন্তু এখন সেখানেই ইলিশের দেখা নেই। সেই কারণেই চাঁদপুর সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নে হরিণা ফেরিঘাট-সংলগ্ন মাছের আড়তে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। বর্তমানে ৯০০ গ্রাম ওজনের ১ মন ইলিশ ১ লাখ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানান, ১ কেজি ওজনের বেশি ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ২২০০ টাকায়। ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৬০০-১৭০০ টাকা দরে আর ৫০০-৬০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১২০০-১৩০০ টাকা দরে।
কেন বাড়ছে দাম?
ব্যবসায়ী সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে যে বংশবিস্তার ও বড় আকারের ইলিশ পাওয়ার আশায় প্রায় টানা দুমাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল বাংলাদেশ সরকার। সেই নিষেধাজ্ঞায় যদিও খুব একটা লাভ হয়নি। কারণ নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর বড় ইলিশ ধরতে নদীতে নেমেছিলেন অনেক মৎস্যজীবীরা। কিন্তু মনের মত মাছ না পাওয়ায় তাঁরা খুব আশাহত। এদিকে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৫০ কেজি ইলিশ মাছ আলিপুরদুয়ারে এসেছে। দেখা যাক কলকাতার বাজারে কেমন দাম হাঁকাতে পারে এই রুপোলি শস্য।