ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: এইমুহুর্তে সরকারী বা বেসরকারি যেকোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রে আধার কার্ড এবং PAN কার্ড এর তথ্য খুব জরুরী। ঠিক তেমনই শিক্ষা ক্ষেত্রে এমনই এক গুরুত্বপূর্ণ কার্ড চালু করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যা প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড, আধার কার্ডের মতোই সমান গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। কিন্তু কী সেই কার্ড? চলুন আজকের প্রতিবেদনের মাধ্যমে সম্পূর্ণটা জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।
কী এই কার্ড?
আধার ও প্যান কার্ড নাম্বারের মতই কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ছাত্র ছাত্রীদের জন্য PEN Number বা Permanent Education Number চালু করল। জানা গিয়েছে স্কুল, কলেজ বা অন্যান্য কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে গেলেই এখন থেকে এই PEN Card থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই কার্ড ছাড়া পড়াশোনা করার অনুমতি দেওয়া হবে না দেশের কোন ছেলে মেয়েকে। এই কার্ডে ১১ ডিজিটের নম্বর বা কোড থাকার পাশাপাশি প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য আলাদা আলাদা আইডেন্টিটি প্রদান করা হবে। সমস্ত ভারত জুড়ে এই পেন কার্ড ব্যবহার করতে হবে।
এই কার্ডের সুবিধা
উল্লেখিত এই কার্ডের মধ্যে একাধিক সুবিধা থাকবে। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে দেশের যে কোন প্রান্তের স্কুল, কলেজ বা অন্যান্য ইনস্টিটিউশনে ভর্তি হওয়ার আগে আবেদনকারীদের এই কার্ড নম্বর দেখাতে হবে। তবেই ভর্তি নেওয়া হবে। এই কার্ড দেখিয়ে শিক্ষার্থী সহজেই দেশের যে কোন প্রান্তে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাইগ্রেশন করারও সুযোগ পাবে। এছাড়াও স্কলারশিপ, চাকরি অথবা বিভিন্ন সরকারি সুবিধা পেতেও এই কার্ডটি সাহায্য করবে। ফলে যাঁরা ভুয়ো ডিগ্রী ব্যবহার করে চাকরি পায়, তাদের সব তথ্য ফাঁস হবে।
কীভাবে তৈরি হবে এই কার্ড?
ছাত্র ছাত্রীদের এই পেন বা PEN Card বানানোর জন্য কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না। কারণ প্রতিটি স্কুল কর্তৃপক্ষ এই কার্ড বানানোর দায়িত্ব নিয়েছে। নির্দিষ্ট সময় মত ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথি সংগ্রহ করে কার্ড বানানো হবে।
এই কার্ড প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা দফতরের উদ্যোগ
পেন কার্ড তৈরির জন্য ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর মারফত নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে ‘বাংলার শিক্ষা‘ পোর্টালে এই সুবিধা উপলব্ধ করা হবে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রীর আইডেন্টিটি নথিভুক্ত রয়েছে বাংলার শিক্ষা ওয়েবসাইটে। কিন্তু ছাত্র ছাত্রীদের এইমুহুর্তে তার অ্যাক্সেস দেওয়া হয়নি। পেন কার্ড তৈরি হলে এই বাংলার শিক্ষা আইডেন্টিটিকেও তার সঙ্গে মার্জ করে দেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে। তখনই ছাত্রছাত্রীরা অ্যাক্সেস পাবে।