ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: বেশ কয়েকদিন আগেই ‘দ্য ডায়েরি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’ ছবির ট্রেলার রিলিজ করেছে। সিনেমাটির পরিচালনা করেছেন সনোজ মিশ্র। আগামীকাল অর্থাৎ ৩০ আগস্ট এই ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা। কিন্তু ইতিমধ্যেই সেই ট্রেলার নিয়ে পড়ে যায় ধুন্ধুমার কাণ্ড। যেখানে দেখানো হয় রাজ্যের শাসক দল মুসলিমদের তোষণ করছে এবং মুসলিমরা হিন্দুদের উপরে অকথ্য অত্যাচার এবং খুনও পর্যন্ত করছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল সিনেমার ট্রেলারে একজন নীল-সাদা শাড়ি পরা এক মহিলাকে দেখানো হয়েছে, যেখানে দাবি করা হয়েছে যে এই মুসলিম তোষণের কেন্দ্রবিন্দুতে তিনিই রয়েছেন।
সিনেমা মুক্তি নিয়ে মামলা করা হয় হাইকোর্টে!
আর তাই এই সিনেমা মুক্তিতে রাজ্যের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে বলে সিনেমাটি রিলিজের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন রাজীবকুমার ঝাঁ নামে এক ব্যক্তি। তাঁর বক্তব্য, সিনেমাটি মুক্তি পেলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সম্পূর্ণ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, তাই শীঘ্রই এই সিনেমাটি রোখা হোক। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হল না। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার, ‘দ্য ডায়েরি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’ নামক এই সিনেমার বিরুদ্ধে আনা মামলার শুনানি হয়। সেখানে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে এ বিষয়ে আদালত কোনো রকম হস্তক্ষেপ করবে না।
মামলায় রায় দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ
প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ আরও জানায় যে, ‘রাজ্যের মানুষ অনেক সহনশীল, তাঁদের বিচার বিবেচনার উপর ছেড়ে দিন। সিনেমা বা বই নিষিদ্ধ ঘোষণা করার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের নির্দিষ্ট নির্দেশ রয়েছে। ইচ্ছে হলে দর্শক দেখবে, আর না ইচ্ছে হলে দেখবে না। গণতান্ত্রিক দেশে এটাই হওয়া উচিত। কেউ তো কারও উপরে কিছু চাপিয়ে দিচ্ছে না। সমালোচনার অধিকার সকলের রয়েছে।’
আরও পড়ুনঃ কেউ আটকাতে পারবে না বিল, রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হাসিল NDA-র! তবে রইল একটি শঙ্কা
প্রসঙ্গত, এই সিনেমাটিকে কেন্দ্র করে বিতর্ক চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। এমনকি পরিচালক সনোজ মিশ্রকে এর আগে জেরা করার জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। কলকাতায় আসেনও তিনি। তবে তারপর হঠাৎই তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। যা নিয়ে তোলপাড় হয় গোটা দেশ। এমনকী, কঙ্গনা রানাওয়াত খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আর্জি জানান সনোজকে খুঁজে দেওয়ার। শেষে পাঁচ দিনের মাথায় বেনারসে খোঁজ পাওয়া যায় সনোজের। এরপর সনোজকে তাঁর পরিবারের লোকের হাতে তুলে দেয় পুলিশ।