ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: বেশ কিছুদিন আগে দাম বেড়েছিল মুরগির মাংসের। রেকর্ড ভেঙে একেবারে সর্বকালীন চড়া দামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে চিকেন। যা দেখে রীতিমতো মাথায় হাত পড়েছে নিম্ন মধ্যবিত্তের। অন্যদিকে মটনকে তো ধরা ছোঁয়াই যাচ্ছে না। যার ফলে চড়া দামের জেরে খাঁসির মাংসের স্বাদ প্রায় ভুলতে বসেছে নিম্নবিত্তরা। আর এই আবহেই এবার আরেক ঝঞ্ঝাট পোহাতে চলেছে সাধারণ মানুষ। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হবে চিকেন পরিষেবা।
নথি থাকা সত্ত্বেও পুলিশের দাদাগিরি!
সূত্রের খবর, গত ১১ই জুলাই বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বেলদা থানার অন্তর্গত এলাকায় মধ্যরাত্রে একটি মুরগির গাড়ি যাচ্ছিল। সেই সময় গাড়ির চালক সমীর ঘোষকে ওই এলাকায় পুলিশের দ্বারা আক্রান্ত হতে হয়। ঘটনার পর তাঁকে অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে বেলদা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে মেদিনীপুর সদর হাসপাতালে ট্রান্সফার করা হয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা প্রশ্ন তোলে কী কারণে পুলিশ ওই গাড়ি চালকের সঙ্গে এমন ব্যবহার করল। এমনকি সেই সংক্রান্ত এক চিঠি বেলদা থানার আইসি, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপার এবং নবান্নে ই-মেল মারফত জানানো হয়। তবে জানা গিয়েছে এখনও দফতর থেকে কোনো উত্তর মেলেনি।
বন্ধ থাকবে মুরগি পরিষেবা!
যার ফলে গতকাল অর্থাৎ সোমবার সন্ধ্যায় পাঁশকুড়ার মেছোগ্রামে একটি আবাসনে বেশ কয়েকটি জেলার প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়। এরপর সাংবাদিক সম্মেলন করে ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা ঘোষণা করেন যে ‘আগামী ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার মধ্যরাত্র থেকে রাজ্য জুড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য মুরগি পরিবহন বন্ধ থাকবে।’
আরও পড়ুনঃ আম্বানির মতো ১৫০০০ কোটির অ্যান্টিলিয়ায় নয়, টাটা থাকেন সাধারণ বাড়িতে! কী কী আছে জানেন?
এ প্রসঙ্গে সংগঠনের এক কর্তা বলেন, ‘ বৈধ নথি থাকা সত্বেও পুলিশ মধ্যরাত্রে সমীরের গাড়ি আটকে রাখে। পাশাপাশি মোটা অঙ্কের অর্থ চাওয়া হয়। কিন্তু পুলিশ যে টাকা চেয়েছিল সেই টাকা চালকের কাছে না থাকায় উনি নিজের সাধ্য মতো পঞ্চাশ টাকা দিতে চেয়েছিলেন। আর তার জন্য কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকরা ওই চালককে গালিগালাজ করে টর্চের পিছন দিক দিয়ে মাথায় জোরাল আঘাত করেন। রক্তাক্ত হন চালক।’