পর্ষদকে বড় বার্তা, ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের জন্য বিরাট নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

Published on:

TET 2014

ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: বেশ কয়েকদিন ধরে SSC থেকে শুরু করে প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে আদালতের একের পর এক বিস্ফোরক রায় উঠে আসছে। যার জেরে চরম অস্বস্তিতে দিন কাটাচ্ছে রাজ্য সরকার। অনেককেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে আদালত। এদিকে প্রাইমারি স্কুলগুলিতে শিক্ষকতার করার জন্য D.El.Ed কোর্স করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এবং এই কোর্স করা থাকলে বিভিন্ন বেসরকারি স্কুলে চাকরির করার পাশাপাশি রাজ্যের প্রাইমারি টেট ও কেন্দ্রের সি-টেট পরীক্ষা দিয়ে পাশ করে সরকারি স্কুলে শিক্ষককতার সুযোগও রয়েছে। তবে সম্প্রতি এই কোর্স নিয়ে এক বড় আপডেট সামনে এল।

কেন মামলা ওঠে হাইকোর্টে?

আসলে ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে প্রাথমিকের ক্ষেত্রে দু’টি নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়। ২০১৬ সালের ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনেকে D.El.Ed কোর্স না করেই চাকরি পেয়েছিলেন। কিন্তু পরে জাতীয় শিক্ষক শিক্ষণ পর্ষদ বা NCTE শিক্ষক হওয়ার ন্যূনতম যোগ্যতা হিসাবে D.El.Ed প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করে। বলা হয়, প্রশিক্ষণ না নিয়ে চাকরি পেয়েছেন, এমন শিক্ষকদের চাকরির পাঁচ বছরের মধ্যে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। কিন্তু মুখে বললেও এত দিনে ওই প্রশিক্ষণ নিয়ে পর্ষদ একটুও আগ্রহ দেখায়নি। তাই এই অভিযোগে হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি অমৃতা সিংহ এর এজলাসে।

WhatsApp Community Join Now

কী নির্দেশ দেন বিচারপতি?

এদিন বিচারপতি অমৃতা সিংহ জানান, প্রশিক্ষণহীন শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের অনুমতি দিতে হবে পর্ষদকে। চলতি শিক্ষাবর্ষে ওই শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের সুযোগ দিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। তাঁরা ভর্তি হতে পারবেন D.El.Ed কোর্সে।

আরও পড়ুনঃ ভরসা এবার নিম্নচাপে! এইদিন থেকে দক্ষিণবঙ্গে ভারী বর্ষণের আভাস দিল আবহাওয়া দফতর

অন্যদিকে SSC-র ক্ষেত্রে যেমন ২৬ হাজার চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তেমনই কলকাতা হাই কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়েছে প্রাথমিকের ৪২ হাজার চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়া। এই আবহে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ২০১৬ সালের প্রাথমিক টেটের মেয়াদ উত্তীর্ণ পুরো প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আর সেই মামলার পরবর্তী শুনানি হতে চলেছে আগামী ৩০ জুলাই।

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন