ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: রাজ্যে সরকারি স্কুলগুলিতে শিক্ষকদের বদলি যাতে স্বচ্ছভাবে হয় সেই কারণে তৈরি করা হয়েছিল উৎসশ্রী পোর্টাল। কোনও শিক্ষক যদি নিজের জেলার স্কুল বা বাড়ির কাছের স্কুলে আবেদন করতে চান সেক্ষেত্রেও তাঁরা এই পোর্টালটির মাধ্যমে আবেদন জানাতে পারতেন। কিন্তু কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অন্য জেলা ও একই জেলার দূরবর্তী স্কুল থেকে বাড়ির কাছাকাছি বদলির দাবিতে আবেদন জানানো হলেও, অনালাইনে দীর্ঘদিন ধরে উৎসশ্রী পোর্টালের আবেদন প্রক্রিয়া বন্ধ থাকার কারণে বিষয়টি আটকে রয়েছে। এবার সেই প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
শিক্ষক বদলির মামলা ওঠে হাইকোর্টে
প্রায় তিন বছর ধরে উত্তর দিনাজপুরের একটি সরকারী প্রাথমিক স্কুলে কর্মরত তামান্না বেগম। পেশায় তিনি একজন শিক্ষিকা। তাঁর থ্যালাসেমিয়া রয়েছে। এমনকি তাঁর মেয়ের আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাও রয়েছে। তাই তিনি বীরভূমে তাঁর বাড়ির ঠিকানার কাছাকাছি বদলির জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সেই বিষয়ে শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে কোনও সদুত্তর মেলেনি। যার দরুন তিনি হাইকোর্টে এই বিষয়ে মামলা দায়ের করেন। গতকাল অর্থাৎ সোমবার এই মামলা আদালতে উঠে আসে। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এই মামলার দায়িত্বভার নেন।
রাজ্য সরকারকে বড় নির্দেশ হাইকোর্টের
আদালত গতকাল এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে নির্দেশ দেন যে, এখন থেকে প্রাথমিক শিক্ষকদের সব বদলির আবেদন অফলাইনে বিবেচনা করতে হবে বোর্ডকে। ফলে ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ থেকে পোর্টাল বন্ধ থাকায় বদলি আটকে থাকার যে কারণ তা শীঘ্রই সমাধান হবে বলে মনে করছেন আইনজীবীরা। উৎসশ্রী পোর্টাল চালু থাকাকালীন হাজার-হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার আবেদন নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পড়ুয়াদের সংখ্যার ভিত্তিতে শিক্ষক-শিক্ষিকা কম থাকার কারণে অনেকেরই বদলি করা হয়নি। বিশেষত, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুরের মতো জেলাগুলিতে।
আরও পড়ুনঃ গুমোট গরম আর নয়, দক্ষিণবঙ্গে এ দিন থেকে শুরু বর্ষার বৃষ্টি! উত্তরবঙ্গে জারি লাল সতর্কতা
প্রসঙ্গত, প্রাথমিকের উৎসশ্রী পোর্টাল ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে আদালতের নির্দেশে অফলাইনে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলির আবেদন গ্রাহ্য করে সেটি বিবেচনা করা হলে অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকারা বদলির সুযোগ পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে।