বসিরহাটে ফের ভোট? হাজি নুরুলের বড় ভুল ফাঁস করলেন রেখা পাত্র! হাইকোর্টে মামলা হতেই তোলপাড়

Published on:

Rekha patra, Haji Nurul Islam

ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহেই লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ এর ভোট পর্ব মিটে গিয়েছিল। ১ জুন সপ্তম দফার ভোটপর্ব মিটতেই ৪ জুন প্রকাশিত হয় ভোটের ফলাফল। এদিকে মাঝে এত দিন কেটে গেলেও ভোটের ফলাফল নিয়ে এখনও অসন্তোষ কাটেনি অনেক জায়গায়। তার মধ্যে অন্যতম হল বসিরহাট। সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচন নিয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র।

সূত্রের খবর, চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনে বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থীর মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিল তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল। তিনি ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ পর্যন্ত বসিরহাটের সাংসদ ছিলেন। কিন্তু পরে ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে আর তিনি লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। এরপরে চলতি বছরের নির্বাচনে দাঁড়িয়ে তিনি প্রায় ৩ লক্ষ ৩৩ হাজার ৫৪৭ ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির রেখা পাত্রকে হারিয়েছেন হাজি নুরুল ইসলাম।

WhatsApp Community Join Now

তৃণমূলের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ বিজেপির

সেই রেখা পাত্র যিনি কিনা ছিলেন সন্দেশখালির প্রতিবাদী মুখ। ভোটের প্রচারে নামার আগে তাঁর সঙ্গেই ফোনে কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপর বসিরহাটের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে গিয়ে প্রচার করেছিলেন রেখা। এদিকে ভোটের ফলাফলে তিনি অনেকটাই পিছনে চলে গিয়েছেন। যা ছিল সকলের কাছে অপ্রত্যাশিত। কিন্তু এর মাঝে ভোটের আগেই হাজি নুরুলের মনোনয়ন নিয়ে প্রশ্ন তোলে গেরুয়া শিবির। বসিরহাট কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলামের প্রার্থীপদ বাতিল হওয়া নিয়ে সোচ্চার হয়েছিল বিজেপি।

ফের আদালতমুখী রেখা পাত্র!

কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে, হাজি নুরুল তাঁর নো ডিউজ সার্টিফিকেট দেওয়ার শেষ সময় পেরিয়ে গেলেও তা জমা দেননি। তাই আদালতে গিয়ে এবার মামলা ঠুকল রেখা পাত্র। তিনি জানিয়েছেন, ভোটের নিয়ম ভেঙেছেন হাজি নুরুল, সেই কারণেই এই মামলা করেছেন তিনি। গত মঙ্গলবার আদালতে গিয়ে রেখা পাত্র বলেন, ‘মনোনয়নে ভুল তথ্য আছে, ভোটও অন্যায়ভাবে করিয়েছেন উনি।’ সেই অন্যায় মানবেন না বলেই দাবি করেছেন রেখা।

আরও পড়ুনঃ পিছল বর্ষা, আজ দক্ষিণবঙ্গের ৫ জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস! সঙ্গে বইবে ৪০ কিমি বেগে হাওয়া

এর আগে তৃণমূল সাংসদ নুরুল ইসলাম নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র পেশের পরই বিজেপি মুখপাত্র জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়েও একই দাবি তুলছিলেন।

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন