ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: গত ৯ আগস্ট থেকে দ্বিতীয় বর্ষের তরুণী চিকিৎসক এর খুনের ঘটনার পর থেকেই রণমূর্তি ধারণ করেছে গোটা রাজ্য। একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসতে শুরু করেছে আরজি কর থেকে। গোটা রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়েই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জুনিয়র থেকে সিনিয়র ডাক্তাররা। বাদ যায়নি সাধারণ মানুষ। তাইতো চতুর্দিকে সুবিচারের জন্য একের পর এক বিক্ষোভের আয়োজন করেছে রাজ্যের প্রতিটি নাগরিক। তারা কেউই যে ভয়ে দমে যায়নি এটাই বারবার শাসক দলকে প্রমাণ করে দিচ্ছে সাধারণ মানুষ। আর সেই সাহসের তালিকায় এবার সংযুক্ত হল কলকাতা পুলিশের একজন মৃত ট্রাফিক সার্জেন্ট এর স্ত্রী।
প্রতিবাদে প্রয়াত ট্রাফিক সার্জেন্টের স্ত্রী
জানা গিয়েছে, কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট ছিলেন সৌরভ দত্ত। কিন্তু তাঁর এই মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না। রহস্যজনকভাবে এখনও লুকিয়ে রয়েছে সেই মৃত্যুর আসল কারণ। আর এই আবহে সৌরভের মৃত্যুর পর কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে তাঁর স্ত্রী ঝর্ণা দত্তকে চাকরির আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতা চিকিৎসকের বিচারের আগুনে তিনিও শপথ নিলেন সুবিচার পাওয়ার পথে রাস্তায় নামার। সেই কারণে পুলিশের তরফ থেকে দেওয়া চাকরি প্রত্যাখ্যান করলেন প্রয়াত সৌরভবাবুর স্ত্রী। তিনি জানিয়ে দেন, আরজি কর কাণ্ডের জেরেই এই সিদ্ধান্ত তাঁর।
পুলিশের চাকরি ফিরিয়ে দিলেন!
স্বামীর এই রহস্যজনক মৃত্যু প্রসঙ্গে ঝর্ণাদেবীর অভিযোগ, এই মৃত্যুকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। তাইতো আরজি করের ঘটনার সঙ্গে নিজের স্বামীর কেসের মিল খুঁজে পাচ্ছেন তিনি। আত্মহত্যা বলে সৌরভের মৃত্যুকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পিছনে কে বা কারা দায়ী ছিল তা আজও জানা যায়নি। প্রথমদিকে ঝর্ণাদেবী নিজে চাকরি নিতে চাননি। কিন্তু পরে আবেদন করেছিলেন যে মেয়ে স্নিগ্ধার জন্যে যদি সেটি সংরক্ষিত রাখা যায়। কিন্তু আরজি করের এই ভয়ংকর আবহে তাঁর মেয়েও সেই চাকরি নেবে না বলে জানিয়ে দেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ ইতিহাসে প্রথম, DA না বাড়ালেও কর্মীদের জন্য বড় ঘোষণা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের
এই গোটা ঘটনার প্রসঙ্গে ঝর্ণাদেবী আরও বলেন যে, ‘পুলিশের উর্দিকে আমি সম্মান করতাম। আসলে এই উর্দি ছিল আমাদের পরিবারের তীর্থস্থান। আমাদের অন্ন জোগাত এই উর্দি। অত্যন্ত যত্ন নিয়ে উর্দি পরিষ্কার করতাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেই সম্মানে এবার কালো দাগ লেগেছে। ভালোভাবে পরিষ্কার করলেও এই দাগ ওঠার নয়। তাই আমি চাইনা আমার মেয়ে এই অপরিষ্কার জায়গায় কাজ করুক।’