ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: গত সপ্তাহে সোমবার বিকেলে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করার পর আনন্দে উল্লসিত হয়ে উঠেছিল জুনিয়র ডাক্তারেরা। আর তারপর থেকেই যত সময় যাচ্ছে, তত তাঁর নামে নতুন-নতুন ‘কীর্তি’ এবং অভিযোগ সামনে উঠে আসছে। হাসপাতালে দুর্নীতি চক্র খোলা থেকে শুরু করে মহিলাদের সঙ্গে নানা রকমের অশালীন ব্যবহার করা কোনোটাই বাদ রাখেননি তিনি। সম্প্রতি এবার বিদেশে গিয়েও সন্দীপ ঘোষের অশালীন ব্যবহার এর প্রসঙ্গ উঠে এল। তবে এবার মেয়ে নয়, এক ছেলের সঙ্গে করে বসলেন এক অভব্য আচরণ।
পুরুষ নার্সিং পড়ুয়ার গোপনাঙ্গ ছুঁয়েছেন সন্দীপ!
সূত্রের খবর, আরজি কর কাণ্ডের আবহে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে পুরনো এক বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে এল। যেই ঘটনাটি ঘটেছে হংকংয়ের একটি হাসপাতালে। কয়েকবছর আগে এক পুরুষ নার্সিং পড়ুয়াকে যৌন নিগ্রহ করেছিল আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। ২০১৭ সালের ৮ এপ্রিল, ইয়াউ মা তেই-তে অবস্থিস কুইন এলিজাবেথ হাসপাতাল। সেখানে এক পুরুষ নার্সিং পড়ুয়ার নিতম্ব ছুঁয়েছিল সে। এরপর তাঁর গোপনাঙ্গ ছুঁতে চেয়েছিলেন। এবং বলেছিলেন, ‘ডু ইউ লাইক দিস?’ কাউলুন সিটি কোর্টের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট লিউং লাই-ইনকে দেওয়া জবানবন্দিতে ওই নার্সিং ছাত্র অভিযোগ করেছিলেন। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সন্দীপকে হংকং পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নেয়। সেখানে তাঁকে বেশ কয়েক দিন নাকি থাকতেও হয়েছিল।
‘বাজে মতলব’ ছিল না দাবি সন্দীপের!
এই ঘটনায় সন্দীপ ঘোষের দাবি ছিল, তাঁর নিজের শোল্ডার ডিসলোকেশন হয়েছিল। সে সেটা ঠিক করার জন্যে সাহায্য চেয়েছিল নার্সের কাছে। সেই সময়ই ভুল করে অন্য জায়গায় হাত দিয়ে ফেলেছিলেন। তাঁর কোনও ‘বাজে মতলব’ ছিল না। ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। যদিও আদালতে সেই অভিযোগকারী নার্স অভিযোগ করেছিলেন, সন্দীপ ঘোষ একাধিকবার তাঁর নিতম্ব ছুঁয়েছিল। পরে হাসপাতালের ডঃ উইলসন লি জানান যে সন্দীপের শোল্ডার ডিসলোকেশন ঘটেছিল। তবে সেটা এমআরআই-তে ধরা পড়েছিল ২০১৭ সালের ২৪ এপ্রিল। আর এই যৌন হেনস্থার ঘটনা ঘটেছিল ৮ এপ্রিল।
প্রসঙ্গত, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনায় অপরাধের তথ্যপ্রমাণ লোপাট থেকে, তাঁর দীর্ঘ দিনের দুর্নীতি, সব কিছু নিয়েই সোচ্চার এখন বিভিন্ন মহল। CBI ও চালিয়ে যাচ্ছে তল্লাশি। সঙ্গে তবে সমস্ত সম্পত্তি নিয়েও চলছে তল্লাশি। আর এমন আবহেই ভেসে উঠেছে হংকংয়ের সেই ঘটনার কথা।