শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ আরজি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে দিকে দিকে প্রতিবাদ চলছে। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম, সর্বত্র চলছে বিক্ষোভ। গত ৯ আগস্ট আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের সঙ্গে হয়ে যাওয়া বর্বরতার ঘটনা এখনও মানুষ ভুলতে পারেননি। এদিকে এই ঘটনায় যত সময় এগোচ্ছে ততই একের পর এক চমকে দেওয়ার মতো তথ্য প্রকাশ্যে উঠে আসছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রথমে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রাই এবং গতকাল শনিবার সন্দীপ ঘোষ, টালা থানার ওসিকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।
তথ্য বিকৃত এবং প্রমাণ লোপাট করার অভিযোগে আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসি অভিজিৎ মন্ডলকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে এবার সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ উঠল।
সন্দীপ ঘোষের আরও কীর্তি ফাঁস!
যত সময় এগোচ্ছে আরজি কর-এর প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের একের পর এক কীর্তি ফাঁস হচ্ছে। সূত্রের খবর, রুপান্তরকামীদের সঙ্গেও শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিল সন্দীপ ঘোষ। নিউজ ১৮ এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বহরমপুরে থাকাকালীন সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠে। রূপান্তরকামীদের নাকি কোয়ার্টারে ডাকতেন সন্দীপ। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নম্বর নিয়ে যোগাযোগের অভিযোগ। মুর্শিদাবাদে অর্থপেডিক বিভাগের হেড অফ দ্য ডিপার্টমেন্ট থাকাকালীন সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠে।
মুর্শিদাবাদে থাকাকালীন নিজের চেম্বার, কোয়ার্টার, হোটেলে রূপান্তরকামীদের ডেকে পাঠিয়ে তাঁদের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালাতেন সন্দীপ ঘোষ। স্বাভাবিকভাবেই এহেন অভিযোগ ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছে বাংলা।
ল্যাপটপেও মিলেছিল নগ্ন ছবি
আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের ল্যাপটপ হাতে পেয়েছেন ED আধিকারিকরা। আর এই ল্যাপটপ ঘেঁটে যা মিলেছিল তা দেখে চোখ কপালে উঠেছে তদন্তকারী অফিসারদের। তাঁর ল্যাপটপে মিলেছে একাধিক নগ্ন পুরুষের ছবি। আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে হংকংয়ে এক নার্সিং ছাত্রের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল। হংকংয়ের দৈনিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক নার্সিং পড়ুয়া সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে গোপনাঙ্গ স্পর্শ করার চেষ্টার অভিযোগ করেন। সরকারি হাসপাতালে পোশাক বদলানোর সময় এই ঘটনা ঘটে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, সন্দীপ ঘোষ কি তবে সমকামী?