ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের জেরে সকলের রোষের মুখে পড়েছিলেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযোগ তুলেছে। এমনকি হাসপাতালের বেওয়ারিশ লাশ পাচারচক্রের রাস্তাও খুলেছিল বাংলাদেশে। এবং আর্থিক দুর্নীতিরও অভিযোগ উঠেছে। আর তার ভিত্তিতেই এবার গত সোমবার CBI এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। কিন্তু গ্রেফতারির পরেই জুনিয়র ডাক্তারদের চাপে এবার বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার।
আরজি করে গত ৯ আগস্ট দ্বিতীয় বর্ষের তরুণী চিকিৎসকের ভয়াবহ মৃত্যুর পর সন্দীপ ঘোষের পদত্যাগের দাবিতে সরব হন জুনিয়ার ডাক্তাররা। এরপর জুনিয়র ডাক্তারদের চাপে সন্দীপ নিজেই আরজি করের অধ্যক্ষের পদ থেকে ১৩ আগস্ট ইস্তফা দেন। যদিও তার কিছু মুহূর্ত পরই রাজ্য সরকার তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পদে বসায়। তবে আন্দোলনকারীরা তা মেনে নেননি। এরপর সেই নিয়ে মামলা ওঠে হাইকোর্টে। সন্দীপ ঘোষকে ছুটিতে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় আদালতের তরফে।
সাসপেন্ড করা হল সন্দীপ ঘোষকে
কিন্তু ছুটিতে থাকলেও রক্ষা পাওয়া গেল না, তারই মধ্যে হাইকোর্টের নির্দেশে আরজি কর কাণ্ডের তদন্ত শুরু করে দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI। তাদের তরফে সন্দীপকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পলিগ্রাফ টেস্টও হয়। এক রবিবার সন্দীপ ঘোষের বাড়িতেও হানা দেন তদন্তকারীরা। সেদিন বাড়ির বাইরে প্রায় দেড়ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় CBI আধিকারিকদের। প্রথমে গত ২৮ অগাস্ট সর্বভারতীয় চিকিৎসক সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন সন্দীপের সদস্যপদ কেড়ে নেয়। এরপর গত সোমবার CBI এর হাতে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হন সন্দীপ। আর ঠিক ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে সরাসরি সাসপেন্ড করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
CBI এর হেফাজতে সন্দীপ ঘোষ
গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার আলিপুরে বিশেষ CBI আদালতে পেশ করা হয় তাঁকে। তারপর দুপুরে তাঁকে নিজাম প্যালেস থেকে বার করে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেই সময় সাধারণ মানুষের থেকে ভেসে আসছিল ‘চোর, চোর’ স্লোগান। এমনকি মাথায় চড় ও খান তিনি। আদালতে CBI নিজেদের হেফাজতে চাওয়ার আর্জি জানায়। অবশেষে আদালতের নির্দেশে ৮ দিনের হেফাজতে নিয়েছেন তারা।