ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনায় এখনও মেলেনি বেশ কিছু প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর। দেখতে দেখতে ১ মাস হতে চলল এই ঘটনার। CBI এর তদন্ত যত এগিয়ে চলেছে ততই একের পর এক ভয়ংকর তথ্য উঠে আসছে। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত আরজি করের কর্মী-সহ মৃতা এবং ধৃতের ঘনিষ্ঠ বা পরিচিত দু’শো জনের বেশি লোককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অন্যদিকে CBI সূত্রের দাবি, ধৃত সঞ্জয় রায় কলকাতা পুলিশের কাছে যে বয়ান দিয়েছে তার সঙ্গে মিলছে না CBI জিজ্ঞাসাবাদে। এমনকি সঞ্জয় পলিগ্রাফ পরীক্ষায় যা দাবি করেছে, তাও কলকাতা পুলিশের তরফে দেওয়া বয়ানের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।
বিস্ফোরক দাবি সঞ্জয়ের আইনজীবীর!
তাই বেশ জটিল হয়ে উঠেছে এই কেস। আর এই CBI এর তদন্তের মাঝেই এবার বিস্ফোরক দাবি করে বসল আরজি কর কাণ্ডের ধৃত সঞ্জয় রায়ের আইনজীবী কবিতা সরকার। তাঁর দাবি ওইদিন রাতে তরুণী চিকিৎসককে খুন-ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে একদমই সঞ্জয় জড়িত নয়। সে শুধুই একজন প্রত্যক্ষদর্শী। ভোরবেলায় ঘরে গিয়ে হঠাৎ করে মেয়েটির মৃতদেহ দেখতে পায়। আর এই কথাই সঞ্জয় নাকি বারবার বলছে। কিন্তু এই দাবির মাঝেই মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। যার মধ্যে অন্যতম হল মৃত তরুণীর পাশে পড়ে থাকা ছেঁড়া ব্লুটুথ হেডফোন।
সঞ্জয়ের ছেঁড়া ব্লুটুথ হেডফোন
স্পষ্টতই গত ৯ আগস্ট ভোর ৪.০৩-এর CCTV-র এক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া মারফৎ প্রকাশ্যে আসতেই জানা যায়। তাতে স্পষ্ট দেখা যায়, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের চার নম্বর বিল্ডিং এর করিডর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয়। আর এই করিডর দিয়েই সেমিনার রুমে যেতে হয়, যেখানে উদ্ধার হয়েছিল তরুণী চিকিৎসকের দেহ। তবে সেই ভিডিওতে এটাই দেখা গিয়েছিল যে সঞ্জয়ের গলায় ঝুলছিল ছেঁড়া হেডফোন এর অংশ। কিন্তু তবুও আইনজীবী কবিতা সরকার সঞ্জয়ের নির্দোষের দাবি তুলে চলেছে।
অন্যদিকে CBI সূত্রে দাবি, ময়না তদন্তের রিপোর্টে মৃতার শরীর থেকে যে ‘সাদা ঘন চটচটে তরল’ উদ্ধারের কথা বলা হয়েছে, তা যে বীর্য, তার কোনো উল্লেখ নেই রিপোর্টে। ফলে তা আদৌ বীর্য কি না, সেটা আগে পরীক্ষা করা খুব প্রয়োজন। ধৃত সঞ্জয়ের DNA ওই একই তরল পাওয়া গিয়েছে কি না, তা দেখলেই হবে। সে ক্ষেত্রে তার বীর্য নেওয়ার প্রয়োজন সে অর্থে নেই। মাথার চুল বা রক্তের নমুনা থেকেও তা নেওয়া যেতে পারে। তবে এই ঘটনায় শুধু সঞ্জয় না কি হাসপাতালেরই একাধিক ব্যক্তি জড়িত, সেই ব্যাপারে তদন্ত করে সত্য উদ্ঘাটন করাই এখন CBI-এর কাজ।