ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: প্রতি বছর ভোট পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত নানা ঘটনা রাজ্যে ঘটতে দেখা যায়। চলতি বছরেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। লোকসভা নির্বাচন মিটতে না মিটতেই তৃণমূল এবং বিজেপি- র মধ্যে জোর কোন্দল লেগে যায়। এমনকি খুন করার মত ঘটনাও ঘটতে দেখা গিয়েছে। আর এই আবহেই এবার বিষ্ণুপুর সংসদ সৌমিত্র খাঁ- র বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ নিয়ে বড় আপডেট সামনে এল।
কলকাতা হাইকোর্টের বড় রায়!
আসলে গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে বাঁকুড়ার সোনামুখী থানা এলাকায় একটি অশান্তির ঘটনায় বিষ্ণুপুরের সাংসদ অর্থাৎ সৌমিত্র খাঁর বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানো, মারধর এবং শ্লীলতাহানীর অভিযোগ ওঠে। সেইসময় বিধাননগর এমপি, এমএলএ বিশেষ আদালতে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। তখন নিম্ন আদালত সাংসদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। আর সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র। এবং সেই FIR খারিজের আবেদন জানান তিনি। এবং সেই আবেদনের ভিত্তিতে গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ খারিজ করে দিল হাইকোর্ট। এবং সেই মামলায় এই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি ঘোষ।
গ্রেফতারির পরোয়ানা জারি সৌমিত্র খাঁ-র বিরুদ্ধে
উল্লেখ্য, এর আগে বেশ কয়েকবার MP, MLA কোর্টে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু প্রতিবার হাজিরা এড়িয়েছেন তিনি। যদিও আদালতে হাজিরা না দেওয়ায় কারণ আদালত সৌমিত্র খাঁর আইনজীবীর কাছে জানতে চাওয়া হয়। তখন সৌমিত্রর আইনজীবী জানান, ভোট পরবর্তী হিংসা সামাল দিতে ব্যস্ত রয়েছে তিনি। সেই কারণেই তিনি আদালতে হাজিরা দিতে পারছেন না। এবার তাই নিম্ন আদালত তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়। আর ফলস্বরূপ তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
আরও পড়ুনঃ বঞ্চনা নয়, বাজেটে রাজ্যের জন্য রেল প্রকল্পে বিশাল বরাদ্দ! দেশে কত নম্বরে পশ্চিমবঙ্গ?
প্রসঙ্গত, বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর কেন্দ্র থেকে এবার লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এবং তৃণমূলের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল। তাঁকে হারিয়ে বিষ্ণুপুরের সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন সৌমিত্র। যদিও, জয়ের ব্যবধান এবার অনেকটাই কমে যায়। তার জন্য নিজের দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন সৌমিত্র।