প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: একদিকে নিম্নচাপের কারণে অতিবৃষ্টি অপরদিকে আবার অত্যাধিক হারে ডিভিসির জল ছাড়ার জেরে বঙ্গের অবস্থা খুবই শোচনীয়। দিনের পর দিন জল ছাড়ার পরিমাণ বেড়েই চলেছে। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবারও ৮০ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে ডিভিসি। ফলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। আর এই দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে পাঁশকুড়ায় বন্যার হাল পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি উদয়নারায়ণপুরেও বন্যা পরিস্থিতি দেখতে যান তিনি। সেখানে কার্যত এই দুর্দশার জন্য সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকার এবং ডিভিসিকেই দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এই রাগের ক্ষোভেই এবার গ্রাম বাংলার জন্য এক বড় সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন।
পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে বড় পদক্ষেপ প্রশাসনের!
এমনিতেই বন্যা কবলিত এলাকাগুলিতে রাস্তাঘাটের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় তার উপর কেন্দ্রীয় সরকারের এই ‘ম্যান মেড বন্যা’ পরিকল্পনা ক্ষুব্ধ হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান আগামী ৩ দিন বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানা এলাকা বন্ধ থাকবে। যার ফলে বাইরে থেকে আসা কোনো পণ্যবাহী লরি ঢুকতে পারবে না রাজ্যে৷ সূত্রের খবর, গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকেই বাংলা-ঝাড়খণ্ড বর্ডার সিল করার নির্দেশ দেওয়া হয় ডুবুরডি চেকপোষ্টে ৷ সেই অনুযায়ী এখন আপাতত বন্ধ এই সীমান্ত। এদিকে প্রশাসনের সিদ্ধান্তে মাথায় হাত পড়ল ঝাড়খণ্ডের প্রশাসনের।
বেজায় সমস্যায় লরির চালকরা!
হঠাৎ করে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নেওয়া এই সিদ্ধান্তে পরিস্থিতি সামাল দিতেই গতকাল রাতে ঝাড়খণ্ড প্রশাসনের ধানবাদ জেলার দুই বিডিও ইন্দ্র কুমার এবং মধু কুমারী পৌঁছন ডুবুরডি চেকপোষ্টে যান। সেখানে থাকা রাজ্য পুলিশের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করার পরেও কোনো সুরাহা করা যায়নি। বেজায় সমস্যায় পড়েন বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা লরির চালকরা৷ এই প্রসঙ্গে এগারকুন্ড ব্লকের বিডিও মধু কুমারী জানান, “এটি দুই রাজ্যের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা সকলে জেলাশাসককে সম্পূর্ণ বিষয়টি জানিয়েছি। উচ্চ আধিকারিকদের মধ্যে কথা হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই এর সমাধান পাওয়া যাবে।”