কলকাতাঃ দেখতে দেখতে কেটে গেল ২৬ দিন। গত মাসের ৯ তারিখে কলকাতার বুকে আরজি কর হাসপাতালে এক দ্বিতীয় বর্ষের তরুণী চিকিৎসক এর সঙ্গে ঘটে যাওয়া ভয়ংকর নারকীয় ঘটনার সুবিচার এখনও মেলেনি। দফায় দফায় চলছে বিক্ষোভের মিছিল। রাত জাগছে জুনিয়র এবং সিনিয়র চিকিৎসকরা। শুধু তাই নয় রাত দখলের লড়াইয়ে হাজির হয়েছে আট থেকে আশি সকলেই। দাবি এক দফা এক তিলোত্তমার বিচার চাই।
সেমিনার রুম সংস্কার ঘটনায় উঠে এল নয়া তথ্য!
তবে এই আবহে আরজি কর মামলা নিয়ে প্রথম থেকেই জলঘোলা রয়েই গিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তের ভার CBI এর হাতে সমর্পিত হলেও ঠিক তার আগেই সেমিনার রুমের পাশে শৌচালয় সংস্কারের নামে ভাঙা হয়। যা এই মামলার সবথেকে বেশি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ঘটনাস্থল যেখানে, সেই ঘর আর তার পাশের ঘর ভাঙতে হঠাৎই উদ্যোগী হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। প্রশ্ন উঠছে এরকম ক্রাইম লোকেশনে কীভাবে কার পারমিশনে ঘর ভাঙার তোড়জোড় পড়ল? এবার সেই বিষয়ে ভয়ংকর তথ্য উঠে এল প্রকাশ্যে।
সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে উঠে এল এক বিস্ফোরক অভিযোগ
বিশেষ সূত্রের মাধ্যমে জানা গিয়েছে, চিকিৎসকদের অন ডিউটি রুম-শৌচাগার ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তিনি নিজেই নাকি পারমিশন লেটারে সই করেছিলেন। গত ১০ আগস্ট প্রকাশিত হয় সেই নির্দেশনামা যেখানে সন্দীপ ঘোষ সই করেছিলেন। সেই নির্দেশনামায় উল্লেখ করা রয়েছে যে ১০ অগাস্ট প্ল্যাটিনাম জুবলি বিল্ডিংয়ে যে বৈঠক হয়েছিল, সেখানে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা কৌস্তভ নায়েকের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিল্ডিং ভাঙার। আর তাতেই একমত হয়ে সই করেন সন্দীপ ঘোষ।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টে CBI প্রথম শুনানির দিন উল্লেখ করেছে যে প্লেস অফ অকারেন্স থেকে তাঁরা পৌঁছানোর আগেই তথ্য প্রমাণ লোপাট করা হয়েছে। এর আগে আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন। যার ভিত্তিতে গত ২৩ আগস্ট কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ নির্দেশ দেন যে মামলাকারী আখতার আলিকে দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত সমস্ত নথি CBI এর হাতে তুলে দিতে হবে ৷ এবং আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর সেই রিপোর্ট তলব করতে চলেছে আদালত।