পিঠে খাওয়া, জমি দখল অতীত! প্রকাশ্যে শাহজাহানের নতুন কেলেঙ্কারি, সব ফাঁস করল ED

Published on:

Sheikh Shahjahan

ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য রাজনীতির দ্বন্দ্ব যেন শিখরে। আজকের রাত পর হলেই আগামীকাল রাজ্যের ৯ টি কেন্দ্রে সপ্তম দফার ভোট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। চারিদিকে এখন তাই এক উত্তেজনামূলক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এর মাঝেই খবরের শিরোনামে বারবার উঠে আসে সন্দেশখালির নাম। এবার সন্দেশখালির শাহজাহান শেখের নতুন কীর্তি প্রকাশ্যে এল। ED এবং CBI এর তথ্যে উঠে এল বিস্ফোরক তথ্য।

আরও এক দুর্নীতিতে নাম শেখ শাহজাহানের

বিঘার পর বিঘা জমি দখল থেকে শুরু করে মাছের ভেড়ি তৈরি, এলাকায় অত্যাচার, মহিলাদের সঙ্গে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এবং রেশন দুর্নীতির অভিযোগে আগেই উঠে এসেছিল সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে। আর এর মাঝেই গত সোমবার তাঁর বিরুদ্ধে এক বড় চার্জশিট প্রকাশ্যে আনে ED। যেখানে কয়লার কারবারে শাহজাহানের কীর্তির কথা উঠে আসে। বেআইনি ভাবে কয়লা থেকে তোলা আদায় করে নিত শেখ শাহজাহানের দল। শুধু তাই নয় কয়লার জোগানে শাহজাহান এবং তাঁর দলবলকে কর হিসেবে টাকা দিতে হত। এদিকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা জানিয়েছে এতদিন ধরে নানা দুর্নীতির মাধ্যমে প্রায় ২৬১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন শাহজাহান।

WhatsApp Community Join Now

ED-র চার্জশিটে ভয়ংকর তথ্য

ED সূত্রের খবর, রেশন ‘দুর্নীতি’কাণ্ডে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সহায়তাতেই শাহজাহানদের বাড়বাড়ন্ত তৈরি হয় সন্দেশখালিতে। সেই জোরেই তাঁরা এত দূর এগিয়েছিলেন। এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করে ফেলেছিলেন তাঁরা। গ্রামবাসীরা সকলেই তাঁদের ভয় পেতেন। তাঁরাই এলাকায় শেষ কথা বলতেন। এমনকি, সন্দেশখালিতে খুন এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এছাড়া জানা গিয়েছে, শাহজাহান শেখ সাবিনা ফিশার সাপ্লায়ার এবং শেখ সাবিনা মাছের আড়তের মাধ্যমেও দুর্নীতি করেছেন তিনি। মার্কেট থেকে মোটা কমিশন এবং ভাড়া বাবদ টাকা তুলতেন তিনি। সঙ্গে আবার জুড়েছে ইটভাটার দুর্নীতি।

আরও পড়ুনঃ চলতি ট্রেনে চেঞ্জ করুন সিট, এই অ্যাপে তাৎক্ষনিক মিলবে সাহায্য! জানাল রেল

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী গোয়েন্দাদের প্রকাশিত চার্জশিট সূত্রে জানা গিয়েছে, শাহজাহানের বিরুদ্ধে ‘পার্ক অ্যান্ড লন্ডার’-এর অভিযোগও রয়েছে। অর্থাৎ প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কোনও একটি জায়গায় টাকা গচ্ছিত রাখত এবং তার পর তা বেআইনি লেনদেনের ব্যবস্থা করা এবং ‘উপযুক্ত’ ঠিকানায় জমা দেওয়ার কাজ করত শাহজাহান। এরপর বিনিয়োগের ব্যবস্থা করে হাজার হাজার কোটির কালো টাকা সাদা করতেন। একই সঙ্গে সন্দেশখালিতে যে টেন্ডার পাশ হত, তার দখলও শাহজাহানের ‘প্রভাবে’ আপনা-আপনিই তাঁর ভাই শেখ আলমগির পেতেন বলেও চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে বলে খবর।

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন