আরজি কর কাণ্ডের মধ্যেই মাথাচাড়া দিচ্ছে সিঙ্গুর ইস্যু, সরকারের সামনে রাখা হল একাধিক দাবি

Published on:

singur

ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের ছায়া যেন গ্রাস করেছে রাজ্যের প্রতিটি মানুষকে। মিছিলের বন্যায় গা ভাসাচ্ছে আট থেকে আশি সকলেই। সাধারণ মানুষ তো বটেই মিছিলের তালে পা মেলাচ্ছে বিনোদন জগৎ থেকে শুরু করে আইনজীবী এবং ডাক্তাররাও। দাবি এক দফা এক তিলোত্তমার বিচার চাই। আর সেই আবহেই এবার আরও এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতির চাপে পড়ল প্রশাসন। তা হল সিঙ্গুরের জমি বিতর্ক।

বিপুল চাপে সরকার

সেই বাম আমল থেকে সিঙ্গুর প্রসঙ্গ যেন বঙ্গের বুকে এক ভয়ানক বিতর্কের সূত্রপাত ঘটিয়েই চলেছে। ২০০৬ সালে সিঙ্গুরে টাটা মোটর গাড়ি কারখানার জন্য জমি অধিগ্রহণ করেছিল তৎকালীন বাম সরকার। তাকে কেন্দ্র করে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল। ফলে বাধ্য হয়ে ফিরে যেতে হয় টাটাদের। সেই সংক্রান্ত মামলায় ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্ট জমি দখলকে বেআইনি ঘোষণা করেছিল। এবং বলা হয়েছিল প্রায় ১ হাজার একর জমি চাষযোগ্য অবস্থায় কৃষকদের ফিরিয়ে দিতে হবে। কিন্তু আজ আট বছর হয়ে গেলেও এখনও কৃষকদের সিঙ্গুরের বেশিরভাগ জমি চাষের অযোগ্য।

WhatsApp Community Join Now

ইমেল মারফৎ দাবি প্রকাশ সিঙ্গুর বন্ধ্যা জমির পুর্নব্যবহার কমিটির

কিন্তু এই জমিই একদিন ডালপালা মেলেছিল শিল্পের স্বপ্ন। একটু একটু করে গড়ে উঠেছিল কারখানার দেওয়াল, ছাদ। কিন্তু, সেই পর্যন্তই। সিঙ্গুরের কপালে আর শিল্পের ছোঁয়া লাগেনি। অর্থাৎ না হয়েছে শিল্প, না ফিরছে সেই শস্য শ্যামলা জমি। তাই এই দাবিতে গত শুক্রবার, সিঙ্গুর বন্ধ্যা জমির পুর্নব্যবহার কমিটি সদস্যরা নবান্নে যান। কিন্তু সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ না হওয়ায় ইমেলের মাধ্যমে তাঁদের দাবিপত্র মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছেন। সেখানে সিঙ্গুর বন্ধ্যা জমি পুর্নব্যবহার কমিটির তরফে যুগ্ম আহ্বায়ক দুধকুমার ধাড়া অভিযোগ করেন যে মাত্র ৩০০ একর জমিতে শুধু চাষ হচ্ছে। বাকি জমি একদমই ব্যবহার করা যাচ্ছে না। তাই বাকি জমি অবিলম্বে ব্যবহারযোগ্য করে তুলতে হবে। সঙ্গে জল নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ ‘সব সীমানা ছাড়িয়ে যাচ্ছে’, নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্টে তোপের মুখে রাজ্য সরকার

শুধু তাই নয়, তাঁদের আরও দাবি যে জমি অধিগ্রহণের আগে প্রত্যেক জমিতে যে ধরনের অধিকার কৃষকদের ছিল তা ফিরিয়ে দিতে হবে। ১০০ একর জমিতে যে ছোট শিল্প ছিল সেগুলি ফিরিয়ে আনতে হবে। যদি কোনও ক্ষেত্রে জমি চাষযোগ্য না হয় তাহলে সেখানে কারখানা গড়ে তুলতে হবে বলে দাবি করা হয়েছে। যদিও তৃণমূলের দাবি ৯০ শতাংশ জমি চাষযোগ্য কিন্তু সেই দাবিকেও পুরোপুরি নস্যাৎ করে দেয় সিপিএম।

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন