ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আজ অর্থাৎ ২৭ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে। আন্দোলনকারীদের ঠেকাতে মরিয়া পুলিশও। এই অভিযানকে ঘিরে তুলকালাম গলি থেকে রাজপথ। জায়গায় জায়গায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধেছে আন্দোলনকারীদের। বাধ্য হয়েই পুলিশ বিক্ষুদ্ধদের ঠেকাতে চলছে লাঠি থেকে কাঁদানে গ্যাস, জলকামান। কারণ উদ্দেশ্য একটাই আর সেটি হল কোনও ভাবেই নবান্নের আশপাশে আন্দোলনকারীরা যাতে পৌঁছতে না পারে।
তবে সূত্রের খবর শাসকদলের তরফ থেকে জানানো হচ্ছে যে চারিপাশ থেকে যে এত ভয়ংকর ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ এর আন্দোলন বেরিয়েছে তাদের মুখোশের আড়ালে রয়েছে ABVP এবং ভারতীয় জনতা পার্টি তথা বিজেপি। কিন্তু এই অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে পদ্মশিবির। কিন্তু পুলিশ কোনওরকম ভাবেই নিরাপত্তায় কোনো গাফিলতি রাখতে চাইছে না। তাই একপ্রকার দুর্গে পরিণত করা হয়েছে রাজ্যের সচিবালয়কে। নিরাপত্তার চক্রব্যূহ তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু এর মাঝেই নবান্নের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেল একটি মিছিল।
নবান্নের নর্থ গেটের সামনে আন্দোলনকারীরা!
জানা গিয়েছে, কয়েকজন আন্দোলনকারী নাকি নবান্নের নর্থ গেটের কাছাকাছি চলে এসেছে। বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরাও। কিন্তু জানা যায় সেই সকল আন্দোলনকারীরা নাকি নবান্ন চত্বরেই থাকেন। তাঁদের হাতে জাতীয় পতাকা, তাঁরাও চিৎকার করে বলতে থাকেন ‘দাবি এক দফা এক মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ’। খানিকক্ষণ সেখানে দাঁড়িয়ে স্লোগান দেন চিৎকার করে। কিন্তু পুলিশ তড়িঘড়ি এসে তাঁদের সকলকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। এবং আবার নবান্ন চত্বর নিরাপত্তার চাদরে মুড়িয়ে দেওয়া হয়।
পুলিশি অত্যাচারে এবার বনধের ডাক!
এদিকে হাওড়া কলকাতায় দফায় দফায় মহাবিক্ষোভ এর আগুন দেখা গিয়েছে। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। লাঠি চালায় পুলিশ। জলকামান ব্যবহার করা হয়। তারইমধ্যে পুলিশকে রাস্তায় ফেলে মারার অভিযোগ উঠে আসছে। অন্যদিকে কলকাতার মহাত্মা গান্ধী রোডেও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করা হয়। পুলিশের তরফ থেকে আন্দোলনকারীদের উপর জলকামান ব্যবহার করা হচ্ছে। অন্যদিকে ছাত্রসমাজের ওপর পুলিশি অত্যাচারের প্রতিবাদে আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে বনধের ডাক।