দুশ্চিন্তার মাঝেই বিরাট বড় স্বস্তি চাকরিহারাদের! তাঁদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি খেলাপ করল না রাজ্য সরকার! কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের ফলে একদিনেই চাকরি বাতিল হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের। তারপরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বাকবিতণ্ডা। নিজেদের হকের চাকরি টিকিয়ে রাখতে এই গরমের মধ্যেও চলছে আন্দোলন। পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য। সকলেই তাকিয়ে আছে সুপ্রিম কোর্টের শুনানির দিকে। তবে এর মাঝেই রাজ্য সরকার নিয়ে নিলেন এক বিরাট বড় পদক্ষেপ।
চাকরিহারাদের পাশে রাজ্য সরকার!
আগেই ঠিক হয়েছিল, কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে চাকরিহারা শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের এপ্রিল মাসের বেতন দেবে রাজ্য সরকার। চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আশ্বাস দিয়েছিলেন, সরকার চাকরিহারাদের পাশে আছে। তাঁদের বেতন এখনই বন্ধ নয়। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, সম্প্রতি রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে যে গ্রীষ্মকালীন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে, তার আগে পর্যন্ত চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা নিজেদের দায়িত্ব পালন করেছেন। সেক্ষেত্রে শ্রম আইন অনুসারে, কেউ কাজ করলে তার উপযুক্ত পারিশ্রমিক দিতে হয়। যার জেরেই এবার বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার।
হাইকোর্টের রায় প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী
জানা গিয়েছে গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার এপ্রিল মাসের শেষ দিনে চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকে গিয়েছে গত মাসের অর্থাৎ এপ্রিল মাসের বেতন। কিন্তু এই ছোট্ট আনন্দের মাঝেও তাঁদের তেমন স্বস্তি জোগাতে পারেনি। কারণ তাঁদের মনে একটাই প্রশ্ন কিন্তু এর পর কী হবে? চাকরি ফেরত কি পুনরায় মিলবে? আইনি জট কবে পুরোপুরি কাটবে? এদিকে প্রত্যেকটি নির্বাচনী জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাইকোর্টের এই রায় নিয়ে নানান মন্তব্য করছেন। তিনি বলছেন, ‘এই রায় বেআইনি। যোগ্যদেরও চাকরি খেয়েছে বিজেপি। কারণ বোমা ফাটানোর কথা বলার পরই এতজনের চাকরি গেল। সুতরাং এই ঘটনার পিছনে ষড়যন্ত্র আছে। এটার শেষ দেখে ছাড়ব।’
আরও পড়ুনঃ মাথায় বাজ! ভোটের মাঝে দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়ল পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের
প্রসঙ্গত, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে চাকরি বাতিল মামলার শুনানিতেই সুপার নিউমেরারি পোস্ট তৈরি নিয়ে আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়েছে SSC, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং রাজ্য সরকার। তবে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশনের বেঞ্চের নির্দেশে অতিরিক্ত শূন্যপদ নিয়ে যে CBI তদন্ত চলছিল সেটাতে আপাতত স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।