ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: রাজ্যের সাধারণ মানুষের স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই একের পর এক প্রকল্প চালু করে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক তেমনই পড়ুয়াদের কথা ভেবেও নিয়ে আসা হয়েছে একের পর এক প্রকল্প। যার মাধ্যমে রাজ্যের হাজার হাজার দরিদ্র ছাত্র ছাত্রী অর্থনৈতিক বাঁধা দূর করে মেধার জোরে উচ্চশিক্ষা চালিয়ে যেতে পারছে। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের ছাত্র ছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই এক নয়া উদ্যোগ নিতে চলেছে।
সমাজে পিছিয়ে পড়া রাজ্যের তফসিলি জাতি এবং জনজাতিভুক্ত পড়ুয়াদের ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিক্যালের প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য রাজ্য সরকার এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছিল। আর সেটি হল ‘যোগ্যশ্রী প্রকল্প’। অনেক সময়েই IIT এন্ট্রান্স, JEE (অ্যাডভান্সড), JEE (মেন), রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স এবং NEET-এর মতো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসার জন্য পাঠ্যক্রমের বাইরে বাড়তি প্রশিক্ষণের প্রয়োজন নিতে হয় পড়ুয়াদের। কিন্তু আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় অনেকেই পিছিয়ে যায়। তাই ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে যোগ্যশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে সেই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল রাজ্য সরকার।
রাজ্যের সাফল্যে পঞ্চমুখ মমতা!
তবে এই প্রকল্পের সুবিধা এত দিন শুধু রাজ্যের তফসিলি জাতি এবং জনজাতিভুক্ত পড়ুয়ারাই একাদশ শ্রেণি থেকে সুবিধা নিতে পারত। কিন্তু সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, এ বার থেকে বাকিরাও যাতে এই প্রকল্পে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ পায় তার ব্যবস্থা করবেন তিনি। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার যোগ্যশ্রী প্রকল্পের সাফল্যের খতিয়ানও তুলে ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘২০২৪ সালে JEE অ্যাডভান্সে ২৩ জন স্থান পেয়েছে, JEE মেইনে জায়গা করে নিয়েছে ৭৫ জন, রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্সে rank করেছেন ৪৩২ জন। অন্যদিকে NEET-এ rank করেছেন ১১০ জন। গত কয়েক বছরের থেকে এবার এই পরীক্ষার ফল অনেক ভালো হয়েছে।’
আরও পড়ুনঃ তাপপ্রবাহের জের, স্কুলে গিয়ে অসুস্থ অজস্র পড়ুয়া! তড়িঘড়ি ফের গরমের ছুটি ঘোষণা রাজ্য সরকার
এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, ‘ সামর্থ্য না থাকা ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবে আমরা রাজ্যের যোগ্যশ্রীর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়িয়ে ৫০ করেছি। প্রশিক্ষিতের সংখ্যাও বেড়ে ২০০০ ছাড়িয়েছে। আমরা চাই সমাজের দুর্বল স্তরে থাকা ছাত্রছাত্রীরা আরও বেশি করে চিকিৎসক এবং প্রযুক্তিবিদ হোক। তাই এ বার সংখ্যালঘু, সাধারণ বা জেনারেল ক্যাটাগরির ছাত্রছাত্রী এবং পিছিয়ে পড়া শ্রেণিভুক্তেরাও যাতে এই প্রকল্পের সুবিধা পায়, তার ব্যবস্থা করবে সরকার।’