বর্ষার আগেই ইলিশ ঢুকবে এপার বাংলায়, কত টাকা হবে দাম? বাঙালির জন্য রইল সুখবর

Published on:

Hilsa Fish

ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: ‘ব্যান পিরিয়ড’ কাটিয়ে ছন্দে ফেরার অপেক্ষায় গোটা রাজ্য। এদিকে খানিক বৃষ্টির দেখা মিললেই কেমন যেন মনটা ইলিশ ইলিশ করে ওঠে। তখন পাত ভর্তি ইলিশের নানা রকমের লোভনীয় রেসিপি হয়ে ওঠে বাঙালির সুখের চাবি কাঠি। এদিকে মরশুমে যদি পাতে ইলিশ না পড়ে তাহলে তো মন একেবারে পুরো ভেঙে যাবে সকলের। কিন্তু কষ্টের দিন বোধ হয় এবার শেষ হতে চলল, কারণ ট্রলার নিয়ে এবার মাছ ধরার ময়দানে নামতে চলেছে মৎস্যজীবীরা।

সূত্রের খবর, গতকাল মধ্যরাত থেকে উঠে যাবে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা। তাইতো বাঙালির প্রিয় রুপোলি শস্য ইলিশের খোঁজে বঙ্গোপসাগরে পাড়ি দেওয়ার অপেক্ষায় সুন্দরবনের হাজার হাজার মৎসজীবী। সেই কারণে আজ সকাল থেকে সুন্দরবনের ঘাটগুলোতে প্রস্তুতি চলছিল জোরকদমে। ঘাটে ঘাটে ট্রলারের ভিড় চারিদিকে আর অন্যদিকে সমুদ্রে যাওয়ার আগে চলছে গঙ্গা পুজো।

WhatsApp Community Join Now

গত মাসে ঘূর্ণিঝড় রিমেলের প্রভাবে ভালোই বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। ফলে পুরোপুরি বর্ষা নামার আগেই সমুদ্রে জলের নোনা ভাব অনেকটা কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি খুব শিগগিরই পুবালি বাতাস বইতে শুরু করবে বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মৎস্যজীবীদের একাংশ। তাইতো শুরুর ট্রিপেই ভালো ইলিশ মেলার আশঙ্কা বাড়ছে মৎস্যজীবীদের মনে। তবে এর মাঝেই আরেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হল মৎস্যজীবীদের।

জটিল সমস্যার মুখোমুখি মৎস্যজীবীরা

গত সপ্তাহে শেষ হয়েছে চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচন। অনেক সরকারী কর্মীরা ভোটের কাজের জন্য ব্যস্ত ছিল। সেই কারণে বহু ট্রলারের লাইসেন্স রিনিউয়াল করা হয় ওঠেনি। ফলে যেই সকল ট্রলারের রিনিউয়াল হয়নি, সেই সমস্ত ট্রলারের গভীর সমুদ্রে যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তবে খানিক স্বস্তি মিলল ট্রলার মালিকদের। কারণ জেলা মৎস্য দপ্তর লাইসেন্স রিনিউয়াল না হওয়া মালিকদের থেকে একটি করে হলফনামা জমা দিয়ে আপাতত সব ট্রলারকে সমুদ্রে যাওয়ার ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে। পরে সেইসকল হলফনামাগুলি ধরে ধরে সমস্ত কাগজপত্র খতিয়ে লাইসেন্স রিনিউ করা হবে।

আরও পড়ুনঃ আর কী চাই! লন্ডন, সিঙ্গাপুরের মতো পরিষেবা এবার কলকাতা মেট্রোতেও! কবে থেকে শুরু?

অনেকসময় গভীর সমুদ্রে ট্রলার দুর্ঘটনার কথা উঠে আসে খবরের শিরোনামে। তাইতো দল বেঁধে মাছ ধরতে যাওয়া মৎস্যজীবীদের ডায়মন্ড হারবার, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, কাকদ্বীপ, রায়দিঘি, পাথরপ্রতিমা, কুলতলি ও সাগরদ্বীপের মৎস্যজীবীদের উপর সতর্ক ও সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি এবার কড়া নজরদারিতে রেখেছে জেলা মৎস্য দফতর। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সহকারী মৎস্য অধিকর্তা সুরজিৎ বাগ এদিন বলেন, ‘কড়া নজরদারির মধ্যে নিয়ম-বিধি মেনেই গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাবেন মৎস্যজীবীরা।’

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন