তমলুক: সোমবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলার শুনানি। এদিন বিচারপতি বেঞ্চের কাছে মুখবন্ধ খামে তদন্তের স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেয় CBI। তবে শুনানিতে CBI-কে ফের স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে বললেন বিচারপতি। পাশাপাশি, প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দেন যে CBI যেন প্রাপ্ত লিড নিয়ে তদন্তে এগিয়ে যায়। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১৭ ই সেপ্টেম্বর।
এদিকে বাংলায় এই মামলায় বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ অব্যহত রয়েছে। হাসপাতালে এমন ঘৃণ্য ধর্ষণ ও নৃশংস খুনের ঘটনা যেন কেউ মেনে নিতে পারছেন না। তবে এই নিয়ে যখন উত্তাল গোটা বাংলা, তখন তমলুকের একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। আর এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মৃত যুবক ওই নার্সিংহোমে কাজ করতেন বলে জানা গেছে। নার্সিংহোমের তরফে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে দাবি করা হলেও যুবকের রহস্যমৃত্যু নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন যেন থেকেই যাচ্ছে।
তমলুকের নার্সিংহোমে কর্মীর রহস্যমৃত্যু
জানা গিয়েছে, তমলুক শহরের আনন্দলোক নার্সিং হোমের অপারেশন থিয়েটার থেকে ওই যুবকের দেহ উদ্ধার করা হয়। সোমবার সকালে সহকর্মীরা তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষের দাবি, যুবক গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে তমলুক থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
আনন্দলোক নার্সিংহোমে ৭ বছর ধরে কর্মরত ছিলেন মৃত যুবক
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মৃত যুবকের নাম সাহেব দাস, বয়স ২৭ বছর। সূত্রের খবর, মৃত যুবক ওই নার্সিং হোমের একজন কর্মী ছিলেন। গত ৭ বছর ধরে নার্সিংহোমে তিনি অপারেশন থিয়েটারের কাজে যুক্ত ছিলেন বলেও জানা গেছে। মৃত নার্সিংহোম কর্মীর বাড়ি ময়নার বাকচা এলাকায় হলেও কর্মসূত্রে তিনি তমলুকের একটি ভাড়াবাড়িতে থাকতেন।
নার্সিংহোমের মালিক শাসক দলের নেতা?
যে আনন্দলোক নার্সিংহোমে মৃত্যু হয়েছে যুবকের, দেখা যাচ্ছে যে সেই নার্সিংহোমের অন্যতম মালিক হলেন তমলুক টাউন ব্লক তৃণমূল সভাপতি চঞ্চল খাঁড়া। যদিও এই ঘটনার বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি। নার্সিং হোমের ম্যানেজার শুভংকর মণ্ডল জানিয়েছেন, পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে এবং প্রেমঘটিত কারণে এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটতে পারে।