ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ড নিয়ে গোটা দেশে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। শাসক দলকে রীতিমত তুলোধোনা করে চলেছে সাধারণ জনগণ সহ বিরোধী দলগুলো। আর এই আবহেই প্রকাশ্যে রাজ্যের হাসপাতালগুলির দুদর্শা থেকে শুরু করে আরজি করের সদ্য প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একাধিক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূল নেতা শান্তনু ঘোষ। যার ফলে এবার দলের মুখপাত্রর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু তবুও চুপ থাকেননি সে। কিন্তু এবার আরজি কর কাণ্ড নিয়ে বড় অভিযোগ করে বসলেন শুভেন্দু অধিকারী।
গতকাল আরজি কর কাণ্ডে পথে নেমে বাম-বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়া করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি মহিলাদের রাত দখলের দিন কারসাজি করে আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুর করে প্রমাণ লোপাট করেছে সিপিএম এবং বিজেপিই। আর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিক সম্মেলনে এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন।
মমতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য শুভেন্দুর!
এদিন প্রেস কনফারেন্সে শুভেন্দু জানায়, “সন্দীপ ঘোষের তো গুণের শেষ নেই। ২০২১ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভালো পা-টাকে ব্যান্ডেজে জড়িয়েছিলেন। একটা সীমাহীন কৃতজ্ঞতা বোধ তো রয়েছে তাঁর। অশোকনগর থেকে গুণ্ডা এনে হামলা চালানো হয়েছে। আমি ১০০টা নাম-ছবি দিতে পারি হামলাকারীদের। এরকম ১০০টা ছবি, ঠিকানা, বাবার নাম, রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে দিতে পারি। চিৎকার করে বলে বেড়াচ্ছেন রাম-বাম, বাম-রাম।” এরপর খাম প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন যে, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খাম দিতেন। আর এই ভিত্তিতেই শোরগোল পরে যায় রাজনীতির ময়দানে।
মুখ্যমন্ত্রীকে মিথ্যাবাদী ঘোষণা সুজন চক্রবর্তীর!
অন্যদিকে, মমতার এই ঘটনার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “মিথ্যার পর মিথ্যা বলে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী, সত্য বলার যোগ্যতা নেই। যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে, দুর্ভাগ্য আমাদের, মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু তারপর থেকে রাস্তায় নামেননি। রাস্তায় নামলেন কখন? যখন একেবারেই ধরা পড়ে গিয়েছেন। গোটা বাংলার মানুষ ১৪ আগস্ট রাস্তায় নেমেছেন, তার আগে সভা থেকে বলে দিয়েছিলেন, যা বলেছিলেন, সেই অনুযায়ী কাজ হয়েছে। ওঁর আজকে বলা উচিত ছিল, পুলিশ কী করছিল? পুলিশের মন্ত্রী কে? পুলিশ কমিশনারকে খারিজ করেননি কেন? তা না করতে পেরেই অসত্য কথা বলছেন। মানুষ রীতিমত তাঁর মুখের উপর হাসছে।”